উত্তর ২৪ পরগনা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) এবার ডানলপে সিবিআইয়ের (CBI) তল্লাশি। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালালেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইডির হাতে গত বছর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই রাজ্যজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েন  সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ৭ জন। তদন্ত এগোতে শুরু করলে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসে। কয়েক সপ্তাহ আগেই কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২৪ ঘন্টা তল্লাশি চালানোর পর গ্রেফতার হন কুন্তল।


গ্রেফতারের আগে কুন্তল ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি-র। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়, দাবি ইডি সূত্রে। খোঁজ মেলে এক ধূসর রংয়ের ডায়েরির যার প্রতিটি পাতাতেই রয়েছে বিস্ফোরক তথ্য। কারণ সেখানেই রয়েছে কোটি কোটি টাকার হিসেব। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নজর যায় এমনই একটি ডায়েরিতে। অভিযোগ, সেটি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের ডায়েরি। ইডি দাবি করেন, সেখানেই রয়েছে কুন্তল ঘোষকে দেওয়া কোটি কোটি টাকার হিসেব। রয়েছে কুন্তল ঘোষের সইও। ইডি সূত্রে দাবি এর মধ্যে বেশ কয়েকটি তাঁর সই বলেও স্বীকার করেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।   


এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন তাপস মণ্ডল। এদিন তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল গ্রেফতার। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাপস মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। গ্রেফতার তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষ। কুন্তলের মুখে বারবার উঠে এসেছিল তাপস মণ্ডস ও নীলাদ্রি ঘোষের নাম। 'তদন্তে সহযোগিতা করছি, কেন গ্রেফতার করল জানি না।', গ্রেফতারির পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন তাপস। তাপসকে বাইরে রাখলে তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। তারপরেই গ্রেফতার করে সিবিআই।


আরও পড়ুন, 'টাকা গেল কোথায়' ? তাপস-সহ ৭ জনকে আজ আদালতে পেশ


সোমবার তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি-শাহিদ ইমাম-সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ । ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা শাহিদ ইমাম নিয়েছে বেআইনি চাকরির নামে, এমনটাই দাবি সিবিআই-এর (CBI)। টাকা কোথায় গেল, কার থেকে নেওয়া হল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।  ১ জন নন, ৩ জন গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান, বলে আবেদন আইনজীবীর।শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম,কৌশিক ঘোষ গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চান। আবেদন জমা দিতে সিবিআই-কে নির্দেশ বিচারকের। টাকা কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছেছে তা খুঁজে বার করা হচ্ছে। আদালতে কুন্তল-তাপস-নীলাদ্রিকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা সিবিআই-র।