কলকাতা: ইডি (ED) দফতরে হাজিরা এড়ালেন যুব তৃণমূল নেত্রী। আর সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) হাজিরা এড়ানো নিয়ে এবার তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে আগের দিন ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 


কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী


যাব বলেও ইডির ডাক এড়িয়ে গলসিতে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন সায়নী ঘোষ। নথি পাঠিয়েছেন, যাবেন ভোট মিটলে, জানিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। ইডির ডাক এড়ানোয় সায়নীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন,  "যাবেন না যাদের বলেছেন, তারা ব্য়বস্থা নেবে। এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওইদিন রাতে ছাড়তে গেল কেন? কুন্তলের কাছ থেকে ৩টে ফ্ল্য়াট কিনে, ফ্ল্য়াটের ভিতরে যে দেওয়াল থাকে, সেগুলো ভেঙে একটা বড় ফ্ল্য়াট করেছে। দামী ৬০ লাখ টাকার গাড়ি গিফ্ট পেয়েছে। কয়েক কোটি টাকা। মানে কোটি টাকার হিসেব নেই। তিনি নিয়োগ দুর্নীতির একজন সুবিধাভোগী। পর্যাপ্ত তথ্য় আছে। তাঁরা ডেকেছিলেন, তাঁদের এসব লোককে ছাড়া উচিত হচ্ছে না।'' "কালীঘাটের কাকু হবে বুঝেই যায়নি।' সায়নীকে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা। 


ইডি-র নজরে সায়নী ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সায়নীর আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেবেও সঙ্গতিহীন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র দাবি, সায়নী শেষ যে আয়কর জমা দিয়েছেন, তাতে বছরে আয় দেখিয়েছেন সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। অথচ তাঁর ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লক্ষ টাকা। ইডি-র প্রশ্ন, এত টাকার দামের ফ্ল্যাট কী করে কিনলেন সায়নী? ইডি-র দাবি, আয়কর দাখিলের তথ্য অনুযায়ী, অভিনেত্রী হিসেবে সায়নী অনেক বেশি টাকা রোজগার করতেন, রাজনীতিতে যোগ দিয়ে আয় কমে গেছে বলে তিনি দেখিয়েছেন। ইডি-র দাবি, ঋণ নেওয়ার কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ২০ লক্ষ টাকা কোথা থেকে এল? ইডি-র দাবি, সায়নী জানিয়েছেন, ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা দিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত নথিই আজ জমা দিতে বলা হয়েছে সায়নীকে। ইডি-র দাবি, সায়নী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭টি অ্যাকাউন্টে নগদ টাকাও জমা পড়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে সায়নীর কাছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Oral Health: কতবার দাঁত মাজলে দূরে থাকবে হৃদরোগ? কী বলছে গবেষণা?