কলকাতা: আজ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পথে রওনা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ বিজেপি (BJP) বিধায়করা। এদিকে, সন্দেশখালির পথে 'বাঁশের কেল্লা' পুলিশের। রামপুরেই বাঁশের ব্যারিকেড করেছে পুলিশের। এদিকে পুলিশি নিরাপত্তার খবর পেতেই সন্দেশখালি অভিযানের কৌশল বদল শুভেন্দুর। যদিও সব বিধায়ক নয়, ৪ জনকে নিয়ে সন্দেশখালি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সঙ্গে যাচ্ছেন শঙ্কর ঘোষ, তাপসী মণ্ডল ও চন্দনা বাউড়ি। 


এদিকে শুভেন্দুর এই অভিযান ঘিরে আঁটসাঁট পুলিশ নিরাপত্তার ছবি ধরা পড়েছে রামপুরে। ধামাখালি থেকে নৌকায় চড়ে যেতে হয় সন্দেশখালিতে। ধামাখালি থেকে ৬ কিলোমিটার আগে, রামপুরে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস, লাঠি, ঢাল নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকা পুলিশে ছয়লাপ।


যদিও পুলিশ ব্যারিকেড দিলেও সন্দেশখালি আজ যাবেন বলেই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সন্দেশখালি যাওয়ার আগে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপিকে আটকাতে রামপুরের নস্করপাড়ায় বিপজ্জনকভাবে ছুঁচলো করে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ছবি দেখিয়ে দাবি করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা এই অভিযোগ
তোলার পরেই তড়িঘড়ি চেঁছে ফেলা হয় বাঁশের ব্যারিকেড।


এর আগেও সন্দেশখালির ত্রিসীমানা তো দূর বিজেপিকে কলকাতার বাইরে পা ফেলতে দেয়নি পুলিশ! সোমবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বাসে করে সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সায়েন্স সিটি হয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরার কথা ছিল। কিন্তু সায়েন্স সিটিতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ-বিজেপি বিধায়কদের মধ্য়ে স্নায়ুযুদ্ধ চলল ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তবে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা জানিয়ে ৬২ কিলোমিটার আগেই শুভেন্দু অধিকারীদের বাস রুখে দিয়েছিল পুলিশ। 


আরও পড়ুন, ভোটের মুখে বড় ধাক্কা রাজনৈতিক দলগুলির, নির্বাচনী বন্ড বিক্রিতে 'সুপ্রিম' নিষেধাজ্ঞা


সেই দিনই শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার ফের যাবেন সন্দেশখালির উদ্দেশে। সেদিন তৃণমূল সরকারকে দুষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, 'সরকারিযন্ত্রকে অপব্যবহার করে নির্বাচিত বিধায়কদের আটকে রাখা, বাধা দেওয়া, ৬২ কিলোমিটার আগে, নন ১৪৪ এলাকায় কখনও দেখতে পাইনি। বুদ্ধবাবুর উদারতার জন্যই এই চোর মমতা বেড়েছে এত। যখন ১৬ দিন ধরে সিঙ্গুরে জাতীয় সড়কটা ঘিরে বসে ছিল, সেদিন যদি পেঁদিয়ে তুলে দিত ওকে না, আজকে পশ্চিমবাংলার এই সর্বনাশটা হত না।' 


এদিকে, বুধবার সুকান্তর সন্দেশখালি অভিযান ঘিরে বুধবারও রণক্ষেত্র হয় বসিরহাট। টাকিতে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল, অভিযোগ রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের। অন্যদিকে, সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন জেলায় জেলায় এসপি অফিসে বিক্ষোভের ডাক বিজেপির।