কলকাতা: ঝালদাকাণ্ডে (jhalda municipality issue) এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে (anti defection law) প্রশাসনকে খোঁচা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari questions)। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক তন্ময় ঘোষের ছবি ট্যুইট করে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা।
কী বললেন শুভেন্দু?
'বিধানসভায় বিজেপি সেজে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে ঘুরছেন গিরগিটিরা। এই বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের জোরে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে সুরক্ষিত', কটাক্ষ শুভেন্দুর। এদিন তন্ময় ঘোষের ছবি ট্যুইট করেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, দলত্যাগ বিরোধী আইনে ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন এসডিও। তার পরই এই তোলপাড়।
প্রেক্ষাপট...
এদিনই আবার কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্য়ালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ঝালদা পুরসভার অপসারিত চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবারই কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সমর্থনে পুরপ্রধান হয়েছিলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরের দিনই, তাঁকে অপসারিত করেন মহকুমাশাসক। নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারকে।এই সিদ্ধান্তের পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিলা চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত হালেই ঝালদা পুরসভায় নতুন সঙ্কট দেখা দেয়। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে যায়। ৬ মাসের আগেই দলত্যাগ করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হন তিনি। ১৯৯৩-এর পুর আইন অনুযায়ী তা করা যায় না, যুক্তি রাজ্যের। নতুন চেয়ারম্যান করা হয় সুদীপ কর্মকারকে। প্রসঙ্গত, আস্থা ভোটেও ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। রাজ্যের শাসকদলকে টেক্কা দেয় কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের তরফে ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করার পর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল আস্থাভোটের। যে প্রক্রিয়া আয়োজিত হয়। ভোটেই কংগ্রেসের ৬ কাউন্সিলর চেয়ারপার্সন হিসেবে সমর্থন জানান নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও ভোটের মাঝেও একে অপরের উদ্দেশ্যে কথার বাণ ছোড়ে কংগ্রেস, তৃণমূল শিবির। কংগ্রেস শিবিরের ব্যাখ্যা, তৃণমূল কাউন্সিলররা ইচ্ছাকৃত দেরি করার চেষ্টা করছিলেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। নির্বাচনে সুপারভাইজার হিসেবে এসডিও রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করে দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেছেন, ভুল কথা বলছে কংগ্রেস শিবির। ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। এদিকে, তপন কান্দুর ছবি নিয়ে কংগ্রেস সমর্থকরা মেতে ওঠেন জয়ের আনন্দে। ২ নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন কংগ্রেসকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ২ নির্দল কাউন্সিলরের তলবি সভায় তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ধাক্কা তৃণমূলের। তাহেরপুরের পর ঝালদা পুরসভাও বিরোধীদের দখলে চলে যায়। কিন্তু তার পরই নতুন সঙ্কট দেখা যায়। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে যায়। আজ তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। একই দিনে সরব শুভেন্দুও।
আরও পড়ুন:১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ডে অবশেষে অব্যাহতি অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর
'