কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল : আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যে ঘটনায় শুরু দায় ঠেলাঠেলি। আর যার পরই সামনে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি, ব্যারিকেড ভাঙতেই হুড়োহুড়ি। এদিকে, পদপিষ্ট হয়ে শিশু, মহিলা-সহ ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল পুলিশ। 


ঘুরপাক খাচ্ছে যে প্রশ্নগুলো


প্রশ্ন ১: হাজার হাজার মানুষের ভিড়, তাও কেন সংকীর্ণ বাঁশের ব্যারিকেড? প্রশ্ন ২: কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রচুর জমায়েত, কেন ছিল না অ্যাম্বুল্যান্স? প্রশ্ন ৩: হাজার হাজার মানুষের জমায়েত? কেন ছিল না পুলিশ?


এদিকে, মৃত ঝালি বাউড়ি আসানসোলের কাল্লার বাসিন্দা। চাঁদমণি দেবী ও ১২ বছরের প্রীতি সিংয়ের বাড়ি রামকৃষ্ণডাঙায়। পদপিষ্টের ঘটনায় ৮ জন আহত হন।  ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে আসা হল গ্রামে। 


শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। কমিটিতে রয়েছেন ডিসি ও এসিপি পদমর্যাদার অফিসাররা। তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়বে পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসকের কাছে।এরপরই উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজুর সম্ভাবনা, খবর পুলিশ সূত্রে। 


রাজনৈতিক চাপানউতোর


কম্বলের সংখ্যা কম, মানুষের সংখ্যা বেশি, জায়গা ছোট। এই ধরণের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করাই ঠিক হয়নি। প্রতিক্রিয়া তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের।


দুপুর তিনটে থেকে অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও, তা শুরু হয় বিকেল চারটের পর! বিকেল চারটে দশে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছন শুভেনদু অধিকারী। প্রথমে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। এরপর আরতির অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মঞ্চ থেকেই কম্বল প্রদানের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিরোধী দলনেতা। সেইসময় মঞ্চে শুভেনদু অধিকারী ছাড়াও, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ একঝাঁক নেতা ছিলেন।


দেড় ঘণ্টা কাটিয়ে সন্ধে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান শুভেনদু অধিকারী। তার পরপরই বেরিয়ে যান বাকি বিজেপি নেতারাও। তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশকর্মী! আর সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। 


আরও পড়ুন- 'মেডিক্যাল কলেজে যেভাবে শাসক দল নির্বাচন বন্ধ করেছে তা অগণতান্ত্রিক', ট্যুইটারে পোস্ট অপর্ণা সেনের