অনির্বাণ বিশ্বাস, আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, কলকাতা : CBI, আবার কখনও ED,  ED’র ‘রাজনীতিকরণ’ আর এবার BSF-এর গায়েও রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়ে গেল চাপানউতোর! নিউটাউনে বিএসএফ-এর অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বিএসএফ সম্পর্কে অপশব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বিএসএফের সম্মানহানির জন্য তাপস রায়, উদয়ন গুহরা এসে ক্ষমা চান! এরপরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।  বিজেপি বঙ্গে বিএসএফের গৈরিকীকরণের চেষ্টা করতে বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, BSF মানে বিজেপি সিকিওরিটি ফোর্স। 


সীমান্তে গুলির লড়াইয়ে অভ্যস্ত যারা, তাদের ঘিরেই এবার রাজনীতির বাগযুদ্ধ। একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে তৃণমূল অর মাঝখানে BSF। পশ্চিমবঙ্গে BSF-এর কর্মপরিধি বাড়ানোর মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিধানসভার প্রস্তাব পাস করেছে তৃণমূল সরকার! যা নিয়ে কয়েকদিন ঘরেই দু’পক্ষের লড়াই চলছে। 

আর তারই সূত্র ধরে এক্কেবারে বিএসএফ-এর দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সদর দফতরে পৌঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বাধীন জনা পঞ্চাশেক বিজেপি বিধায়ক। BSF দফতরে টাঙানো শামিয়ানার নিচে বসলেন বিজেপি বিধায়করা। বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি বিধায়করা। এরপর বিএসএফ দফতরে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন শুভেন্দু অধিকারী! তিনি বলেন,  'বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অন্য দলের সতীর্থ, তারা যে ভাষা বিএসএফ সম্পর্কে প্রয়োগ করেছেন, তা অনভিপ্রেত, ক্ষমা চাইছি, হতে পারে বিএসএফের কেউ কেউ খারাপ আছেন, তার মানে গোটা বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় তোলা ঠিক নয়, এভাবে ভাষা সন্ত্রাস চালানো যায় না, ওরা অনেক কিছুই বলতে পারে, আমরা অভিনন্দন জানাতে এসেছি, আমরা জন প্রতিনিধি হিসেবে, যাঁরা মানুষের সেবা করেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করলাম, ওরা কী বলছে জানার দরকার নেই, ওরা আসেননি, এসে ক্ষমা চাক'

শুভেন্দু অধিকারীদের BSF-এর দক্ষিণবঙ্গের হেড কোয়ার্টারে দেখে তৃণমূল এই ট্যুইট করে দাবি করে, বিজেপি BSF কে বিজেপি সিকিওরিটি ফোর্সে পরিণত করার চেষ্টা করছে! দফতরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও, রাজনীতি থেকে দূরত্বই বজায় রেখেছে বিএসএফ। অনুরাগ গর্গ (আইজি, বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ) বলেন,  এখানে ওঁরা এসেছিলেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে, আমরাও যোগ্য সঙ্গ দিয়েছি...আমরা খুশি ওঁদের ভিজিটে। সবমিলিয়ে এবার BSF-কে নিয়ে সম্মুখসমরে বিজেপি-তৃণমূল।