উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, শুভেন্দু ভট্টাচার্য: সারদা চিটফান্ড (Saradha Scam) কেলেঙ্কারির 'সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই কি তাঁর বিরুদ্ধে CBI পদক্ষেপ করতে দ্বিধাগ্রস্ত? আট বিরোধী দলের পাল্টা,  এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে এই অভিযোগ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নারদকাণ্ডে তাঁকে কেন ছেড়ে রাখা হয়েছে? পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল, এমনকি সিপিএম-ও।


বঙ্গ রাজনীতিতে ফের পত্র-যুদ্ধ, মমতাকে নিয়ে চিঠি শুভেন্দুর


চিঠির পাল্টা চিঠি। বঙ্গ রাজনীতিতে ফের পত্র-যুদ্ধ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল-সহ আট বিরোধী দল। যেখানে শুভেন্দুর ক্ষেত্রে ED, CBI-এর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু (Saradha Case)।

চিঠিতে মমতাকে সারদাকাণ্ডের 'সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী' বলে দাবি করে, CBI-এর পদক্ষেপে দ্বিধাবোধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, "সারদার থেকে বড় কেলেঙ্কারি সাম্প্রতিক কালে হয়নি। আর এই কেলেঙ্কারির আসল মুখ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সিবিআই তাঁকে জেরা করবেন না, এই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীক চিঠি পাঠিয়েছি।"


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'সারদায় সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা', দাবি শুভেন্দুর, সরাসরি চিঠি মোদিকে

নারদ-প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত, ওকে গ্রেফতার করেনি কেন? কেন ছেড়ে রাখা হয়েছে?"

রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা আট বিরোধী দলের চিঠিতে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার পাশাপাশি, শুভেন্দুর নাম টেনে লেখা হয়েছিল যে, নারদকাণ্ডে CBI ও ED-র স্ক্যানারে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত এগোয়নি।সোমবার মোদিকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু আবার লিখেছেন, 'যিনি প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছেন এবং ক্ষমতার অপব্য়বহার করে, সারদাকাণ্ডের সবথেকে বড় সুবিধা ভোগ করেছেন, তাঁকে CBI খুঁজে বার করবে বলে প্রত্যাশা ছিল। সেই ব্য়ক্তি আর কেউ নন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এই কারণেই কি CBI দ্বিধাগ্রস্ত? নাকি চেয়ারের উচ্চতার জন্য় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপে অনীহা?'।


যদিও শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর বক্তব্য, "আচ্ছা নারদের টাকা ওর কাছে নেই? সারদার টাকাও তো নিয়েছে! যে কারণে ওকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। আগে একটা নৈতিক জায়গায় পৌঁছক।"


দড়ি টানাটানিই চলছে, আমানতকারীদের টাকা ফেরত আসেনি এখনও

প্রায় এক দশক কাটতে চললেও, সারদাকাণ্ডে এখনও তদন্ত শেষ করে উঠতে পারেনি CBI. প্রতারিত আমানতকারীরা কবে টাকা ফেরত পাবেন সেই উত্তর নেই কারও কাছে। শুধু রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলছে সমান তালে।