কলকাতা : ঝালদাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো, একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনে অভিযোগ করেছেন, ঝালদা থানার আইসি, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য, তাঁদের ওপর চাপ দিচ্ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন কথা বলাও বিপদ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বললে, তা-ও রেকর্ড করা হচ্ছে। তারপর ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। এটা একেবারেই ঠিক নয়। এটা একটা অপরাধ। দয়া করে কেউ পেগাসাস করতে যাবেন না। 


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিন বছর আগে আমাদের কাছেও, পেগাসাস কেনার অফার এসেছিল। কিন্তু, আমরা কিনিনি। অন্ধ্রপ্রদেশ কিনেছিল। মানুষ কারও সঙ্গে নির্ভয়ে কথা বলবে, এটাই তো হওয়া উচিত। কথা বলতে ভয় পাবে, এটা তো ঠিক নয়। এই মন্তব্যের কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ' আমি বলব, ইমিডিয়েট পেগাসাস তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ' ।


সম্প্রতি পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সংসদে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হন বিরোধীরা। ঝালদা এবং পানিহাটিকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক তরজার আবহে,  সেই পেগাসাস বুধবার বিধানসভায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


এই প্রেক্ষাপটে বুধবার বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট-বক্তৃতায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ যেমন রাফ অ্যান্ড টাফ হবে, তেমন মানবিকও হবে। রাজনৈতিক রঙ দেখে, পুলিশ কাজ করলে হবে না। এটা আমি পছন্দ করি না। বেশিরভাগ পুলিশ ভাল কাজ করে। কাজ করতে গিয়ে ভুল করলে, শুধরে নিতে হবে। পুলিশ যদি বেআইনি কাজে যুক্ত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখানে একটা-দু’টো ঘটনা ঘটছে বলে রাজ্যকে ক্রিমিনালদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, এটা মনে করি না। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আসাম, কর্নাটক, দিল্লিতে মানুষ বিচার পায় না। কিন্তু, বাংলায় মানুষ বিচার পায়। কেউ যদি ভুল করে, আইন আইনের পথে চলবে। তার মানে এটা নয়, যে দিল্লির পুলিশ ভাল, বাংলার পুলিশ কালো। বাংলার পুলিশের সঙ্গে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তুলনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।