কলকাতা: আজ বাঁকুড়ার কোতুলপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিজয়া সম্মিলনী। শুভেন্দুর বিজয়া সম্মিলনীর অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ২৭ অক্টোবর জানালেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি, অভিযোগ বিজেপির। আর এবার পুলিশের পর বাঁকুড়ায় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় 'না' আদালতের (Calcutta High Court)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল, 'আমি কোর্টকে রেসপেক্ট করি'। কিন্তু যাবতীয় ক্ষোভ শাসকদলের উপর উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।


 শুভেন্দু বলেছেন, 'আমি কোর্টকে রেসপেক্ট করি। আমি মাঠে যাইনি। কর্মীদের সঙ্গে মিট করলাম। যা করেছে, তার ফল ভুগতে হবে।একটা বিজয়া সম্মিলনী ৫ থেকে ৬ হাজার কর্মীকে নিয়ে, তার যা মাইলেজ পাবলিসিটি পেতাম, বৈভব দেখানোর ফলে, তার থেকে হাজার গুণ বেশি পেলাম। ৯ তারিখে বিষ্ণুপুরে আসব। কর্মীদের সঙ্গে মিট করব। বিজয়া করব।  মিষ্টি খবা, খাওয়াব। আর ১৭ তারিখে কোতলপুর বাজারে হাঁটব।


মূলত, এদিন পুলিশের পর বাঁকুড়ায় শুভেন্দুর সভায় অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। কোতুলপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে অনুমতি দেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তবে তাঁর পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, 'আজ দুপুর ২টোর মধ্যে অনুমতি না দিলে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এসপিকে। কেন অনুমতি নয়, ভিডিও কনফারেন্সে ব্যাখ্যা দিতে হবে এসপিকে', অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা না করলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।


অপরদিকে, একই দিনে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নাম না করলেও ধেয়ে আসে তোপ। এরপরেই 'মিথ্য়েবাদী' বলে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি শুনে রাখুন।আপনার ভাইপো, আপনার পরিবারের, ইনকাম ট্যাক্সে কিছুই দেখানো নেই। আমার সবই দেখানো আছে। এরপরেই তোলেন তাঁর পেট্রোল পাম্পের কথা। বলেন, 'পেট্রোল পাম্প সব বৈধ, আপনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগের পেট্রোল পাম্প। একুশ সালের শুভেন্দু অধিকারীর হলফনামা দেখে নেবেন আপনি।'  


আরও পড়ুন, 'পদপিষ্ট হলে কে দায়িত্ব নেবে?', পুলিশের পর শুভেন্দুর সভায় 'না' আদালতের


মূলত এদিন নাম না করেই নবান্ন থেকে মমতা বলেন, 'কারও কারও ৬০-৭০-৮০টি ট্রলার আছে, নানা লোকেই বলে। কত বেনামি বাড়ি আছে, কত পেট্রোল পাম্প আছে, কত কোটি কোটি টাকা রয়েছে। তারা বড় বড় কথা বলে কী করে? এতদিন করিনি, এবার আমরাও কাগজপত্র বের করছি।' পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর, 'বালুর অবৈধ সম্পত্তির' কথা শুভেন্দুর মুখে উঠতেই, তৃণমূলের তরফেও নিশানা করা হয়। বিরোধী দলনেতারও অবৈধ্য সম্পত্তি রয়েছে, শুভেন্দুর দিকে কেন চোখ যায় না ইডি-সিবিআই-র ? প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।