কলকাতা: পুলিশের পর বাঁকুড়ায় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় 'না' আদালতের (Calcutta High Court)। তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও বহুবার শুভেন্দুর সভা নিয়ে টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে। হাওড়া, ধর্মতলা-সহ একাধিক সভায় প্রথমে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। কখনও প্রেক্ষাপট ছিল স্পর্শকাতর, কখনও আবার শাসকদলও ও বিরোধী দলের একই সময় একইস্থলে সভার কর্মসূচি। তারপর বহু বিতর্কের পর আদালতের নির্দেশেই সমাধান এসেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে কোতুলপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে অনুমতি দিলেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।
'পদপিষ্ট হলে কে দায়িত্ব নেবে?'
'৪ নভেম্বর বা তার পরে পুলিশ অনুমতি দিলেই সভা করতে পারবে বিজেপি',পুলিশ সুপারের সওয়াল শোনার পরে নির্দেশ হাইকোর্টের। মাঠে ঢোকা-বেরোনোর মাত্র একটি পথ: পুলিশ সুপার। 'পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে কার দায়িত্ব? জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো পরিস্থিতি হলে কে দায়িত্ব নেবে?', আসানসোল কম্বলকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা না করলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি বিচারপতির
আজ বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বিরোধী দলনেতার বিজয়া সম্মিলনী। শুভেন্দুর বিজয়া সম্মিলনীর অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ২৭ অক্টোবর জানালেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি, অভিযোগ বিজেপির। 'আজ দুপুর ২টোর মধ্যে অনুমতি না দিলে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এসপিকে। কেন অনুমতি নয়, ভিডিও কনফারেন্সে ব্যাখ্যা দিতে হবে এসপিকে', অনুমতি না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা না করলে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
ঠিক কী হয়েছিল কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ?
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ গিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। স্থানীয়দের দাবি ছিল, কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরসভার প্রায় ৫টি ওয়ার্ড থেকে লোক এসেছিল। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছাড়তেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে গিয়েছিল। উদ্যোক্তাদের তরফে ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন, ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড রেখে গিয়েছিল বামেরা, জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে বললেন মমতা
স্থানীয়দের দাবি ছিল, প্রায় সকলেই শুভেন্দুর সঙ্গে সভাস্থল ছেড়ে গিয়েছিলেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা গিয়েছিল। এবং ওই ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গত ১৮ মার্চ, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ।