সমীরণ পাল, সৌভিক মজুমদার :  বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকায়, বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। 


উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Pargana ) বনগাঁর তৃণমূল নেত্রী আলোরানি সরকারের (Alorani Sarkar) দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। আলোরানি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না বলে পর্যবেক্ষণ ছিল আদালতের। গত বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। কিন্তু, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তিনি। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।


আজ সেই প্রসঙ্গেই বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লিখেছেন, ' তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধানের ২৯-এ ধারার ৫ নম্বর উপ ধারা অনুসারে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধি লঙ্ঘন করেছে। একজন বিদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তারা দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি নষ্টের চেষ্টা করেছে। এ ধরনের রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন কী বাতিল করা উচিত নয়? ' বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের বাংলাদেশ-নাগরিকত্ব নিয়ে ট্যুইটে তৃণমূলকে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ' শুধু তাই নয়, ওনাকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নিয়োগ করা হয়। এর পরেও বলবে, যে দল জানত না? কোনো অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে এই রকম গুরু দায়িত্ব দেওয়া যায়? এই দলের নিবন্ধীকরণ কেনো বাতিল করা হবে না? ' 


 










শুক্রবার সেই মামলায়   বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, 'বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে আলোরানি সরকারের। তাই নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না তিনি। '
এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রীর নাগরিকত্বের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে নিজেকে এদেশের নাগরিক দাবি করে, এ বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন বলে জানান আলোরানি সরকার।