কলকাতা: নারদ-কাণ্ড (Narada Sting Operation) নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, 'দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নারদ স্টিং অপারেশন ছাড়া কোনও অভিযোগ নেই'।


কী বললেন শুভেন্দু?
তৃণমূলনেত্রীর প্রাক্তন সতীর্থ তথা বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর আরও দাবি, 'রাজনৈতিক চাঁদা দেওয়ার নামে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিল ভাইপো।' তাঁর কথায়, 'যাদের আগামীদিনের বাধা বলে মনে করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করা হয়। ৬৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ম্যাথুকে কে ডি সিংহর সাহায্যে ব্যবহার করা হয়েছিল।' তাঁর মতে, এই অভিযোগের একটিও প্রমাণিত নয়। গোটা বিষয়টিতে ইকবাল আহমেদ, সুলতান আহমেদের ভূমিকার কথাও উঠে আসে তাঁর মন্তব্যে। 

পাল্টা হুঁশিয়ারি তৃণমূল সাংসদের...
এদিন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার মুখে নারদ-কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি শুনে সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। বলেন, 'আজ নারদ নিয়ে উনি অনেক বড় বড় কথা বলছেন। সেই সময় কেন প্রতিবাদ করেননি? খানাকুলের রমেন পরামানিক ওরফে রাজা ম্যাথু স্যামুয়েলকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নিয়ে যান। উনি যদি ধোয়া তুলসিপাতা হন, তা হলে কেন তিনি সে সব গ্রহণ করেছিলেন?' তৃণমূল সাংসদের দাবি, 'প্রয়োজনে সিবিআই, ইডি, প্রধান বিচারপতির সামনে আমাদের নিয়ে যান। ...আমি কিন্তু ওঁর মুখোশ খুলে দেব।'


কী ছিল নারদ-কাণ্ড...
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল নারদ-স্টিং অপারেশন। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ এবং বিধায়কদের টাকা নেওয়ার সেই ছবি দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেয়। সেই ভিডিও-তে দেখা গেছিল সুজয়কৃষ্ণকে। তাঁর বক্তব্য, "ম্যাথু স্যামুয়েল এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেই সময় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। উনি ছিলেন না। আমি বললাম, কখনও একটা দেখা করার ব্যবস্থা করে দেব। ম্যাথু এসেছিলেন, এ রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য। আমি বলেছিলাম, দেখা করার ব্যবস্থা করে দেব। কেউ কখনও আসেনি, ডাকেওনি।" কয়লাকাণ্ডেও নাম আসে সুজয়কৃষ্ণের। কয়লা পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে সুজয়কৃষ্ণকে।  তাঁকে তলব করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আসার পর, এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি কী করে, সে দিকেই সকলের নজর। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বুধবার মুখ খোলেন সুজয়কৃষ্ণ। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কর্মরত বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে বার বার নাম উঠে আসা নিয়ে প্রশ্ন করলে জানিয়ে দেন, এমনিতে অভিষেকের ধারেকাছে পৌঁছনোর সাধ্য নেই কারও। তাই তাঁকে বোড়ে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ।


আরও পড়ুন:আদালতে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক পার্থ ! আনলেন শুভেন্দু, দিলীপ, সুজনের নাম