কলকাতা : "আমরা বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গের লোক বাঁচতে চাই, ভাল থাকতে চাই। এই অত্যাচারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ ও তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধলেন।  

শুভেন্দু বলেন, "প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, এই রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত, তোষণের সরকার ৫৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তে জমি ভারত সরকারকে না দিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী  এবং রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতকে বরবাদ করছে। আপনাকেই এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-মুক্ত করতে হবে। আপনিই পারবেন।"

তাঁর সংযোজন, "শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাঙালি হিন্দু হোমল্যান্ড আপনাকেই বাঁচাতে হবে। আপনিই পারবেন। আমরা বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গের লোক বাঁচতে চাই, ভাল থাকতে চাই। এই অত্যাচারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাই। তৃণমূলকে তাড়াতে হবে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে। রাষ্ট্রবাদী সরকার তৈরি করে, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।" 

একইভাবে এরাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, "বাংলার প্রয়োজন আসল পরিবর্তন। পরিবর্তন যেটা স্লোগানে নয়, কাজে দেখা যাবে। সেই পরিবর্তন যা ঘরের ছেলে-মেয়েদের এ রাজ্যেই চাকরি দিতে পারবে। পরিবর্তন যা মেয়েদের সুরক্ষা দেবে। বাড়ি ও দোকানকে জ্বলে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। পরিবর্তন যা সকলকে সুবিধা দেবে। কৃষকদের সম্মান দেবে, ফসলের সঠিক দাম দেবে। পরিবর্তন... যেখানে অপরাধী ও দুর্নীতিগ্রস্তরা সরকারে নয়, জেলে থাকবে। এমন পরিবর্তন, যেখানে সুশাসন হবে। গরিবরাও সম্মান নিয়ে বাঁচবে। আসল এই পরিবর্তন শুধু বিজেপিই আনতে পারবে। তাই বাংলার ঘরে ঘরে আমাদের একটা কথা পৌঁছে দিতে হবে, বাংলার সব কোণ থেকে একটাই আওয়াজ আসতে হবে, বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই।" PM Modi Rally

তৃণমূলকে একাধিক ইস্যুতে একহাত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "দুর্নীতির জেরে যুবকদের ভবিষ্যৎ খারাপ হয়ে গেছে। মেয়ে-বোনদের উপর অত্যাচার বেড়ে গেছে। অপরাধ ও দুর্নীতি তৃণমূলের পরিচয় হয়ে উঠেছে। তাই যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন বাংলার উন্নতি অবরুদ্ধ থাকবে। তাই আজ বাংলার প্রত্যেক মানুষ বলছেন, তৃণমূল গেলে তবেই বাংলায় আসল পরিবর্তন আসবে।" এরপরই বাংলায় তিনি বলেন, "টিএমসি যাবে, তবেই আসল পরিবর্তন হবে।" এদিন দমদমের সভায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য-সহ রাজ্যের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।