কলকাতা : স্কুল-কলেজ খোলার দাবি। বিকাশ ভবনের সামনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বিজেপি বিধায়কদের আটকাল পুলিশ। সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিকাশ ভবন যাওয়ার সময় বাধা পান তিনি। পুলিশের বাধায় রাস্তাতেই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা।
কোভিড পরিস্থিতিতে দিকে দিকে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জোরাল হচ্ছে। চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে আজ শুভেন্দু অধিকারী ও অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপির বিধায়কদের একটি দল আজ বিকাশ ভবনে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, বিকাশ ভবনের সামনেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সেই সময় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু-অগ্নিমিত্রা। যদিও তাঁদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন শুভেন্দু-অগ্নিমিত্রারা। রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন ; অবিলম্বে খুলুক স্কুল, পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পের মহড়াতে উঠল দাবি
শুভেন্দু বলেন, "২০০ জন নিয়ে বিয়েবাড়ি হতে পারে, ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাস হতে পারে না? দিনরাত খোলা রয়েছে মদের দোকান, আর স্কুল খুলতেই সমস্যা? পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। এর আমরা বিরোধিতা করছি। অভিভাবক-অভিভাবিকাদের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে ১৫টা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি জানাচ্ছি আমরা। শিক্ষাতন্ত্রকে দলতন্ত্রে পরিণত করেছেন। সেই কারণে প্রতিদিন হাইকোর্টে কানমোলা খায়। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করেছে।"
একহাত নেন একাংশ পুলিশ আধিকারককেও। বলেন, "এই আইপিএসদের বাহাদুরি আর বেশিক্ষণ চলবে না। প্রধানমন্ত্রী সেন্ট্রাল রুল সংশোধন করছেন। এরপর এই আইএএস-আইপিএসরা যাঁরা গণতান্ত্রিক দেশে অগণতান্ত্রিক কাজ করছেন দলদাসে পরিণত হয়েছেন, তাঁদের পরিণতিও যা করার কেন্দ্রীয় সরকার করবে।
এর পাশাপাশি যতক্ষণ না স্কুল খুলবে বিধানসভা থেকে একজন হলেও বিজেপি বিধায়ক বিকাশ ভবনের সামনে আসবেন বলে জানিয়ে দেন শুভেন্দু।