কালিয়াগঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর: ওন্দায় অভিষেকের সভার (Abhishek Banerjee) পরেই কালিয়াগঞ্জে ঝড় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লোকসভা ভোটের আগে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এদিন তিনি বলেন, 'রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব।'
'লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব'
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একদিকে যেমন উঁকি দিচ্ছে পঞ্চায়েত ভোট। পাশাপাশি হাতছানি চব্বিশের লোকসভা ভোটেরও। এমনই এক ট্রানজিশনে এদিন চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ' রায়গঞ্জ কোনওদিন তৃণমূলের ছিল না, আগেও ছিল না, এবারও থাকবে না। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পরে তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়েছিল। আমি বেরোনোর পরে তৃণমূলের দোকান খুলেছিল, এর জন্য ক্ষমা চাইছি।'
'পয়লা বৈশাখের আগে বাংলাকেই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল'
এরপর ফের এদিন পরিবারতন্ত্রের ইস্যুতে খোঁচা দিলেন তিনি। শুভেন্দুর বার্তা, 'পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতি আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বে বিজেপি।' যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার স্বপ্নভঙ্গ হলেও এদিন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই জাতীয় দলের তকমা গিয়েছে তৃণমূলের। এই ইস্যুতে শুভেন্দুর সংযোজন, 'পয়লা বৈশাখের আগে বাংলাকেই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল।'
'বাংলায় কেন এই অবস্থা? দায়ী কে?'
তবে এদিনও ফের শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল এনআরসি ইস্যু। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, 'এনআরসি নিয়ে আর ধাপ্পাবাজিতে যাবেন না।'সম্প্রতি এই ইস্যুতেই কয়েকদিন আগেই রিষড়াকাণ্ডের পর শুভেন্দু বলেছিলেন, 'একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস, ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভাল করে জানেন, এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসি-র (NRC) মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।'এদিনও বিরোধী দলনেতার মুখে এল বাংলার অশান্তির প্রসঙ্গ। 'বাংলায় কেন এই অবস্থা? দায়ী কে?' প্রশ্নের কাঠগড়ায় এদিনও রাজ্যকে রাখলেন শুভেন্দু। যদিও ক্ষণিকেই তার সংযোজন, 'সাফ করতে হবে।'
আরও পড়ুন, '১ কোটি চিঠি নিয়ে দিল্লি যাব', কী 'প্রায়শ্চিত্ত' করার কথা বললেন অভিষেক ?
'বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়েও মাঠ ভরানো হয়নি'
ঘড়ির কাঁটার সামান্য আগে পিছে এদিন অভিষেক ও শুভেন্দুর সভা। এদিন হেলিকপ্টারে করে সভায় আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় এদিন প্রচুর মানুষের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঘিরে রাজ্যের দুর্নীতির ইস্যু তোলার আগেই এদিন অভিষেককে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন,'ভাইপোর মতো হেলিকপ্টার নিয়ে সভা নয়, মানুষকে নিয়ে সভা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথীর লোভ দেখিয়ে জনসভা নয়। বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়েও মাঠ ভরানো হয়নি। জোর করে মাঠ ভরানো হয়নি' বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।