কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে রামপুরহাটের (Rampurhat) হত্যাকাণ্ড নিয়ে ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজ্যে। এদিন বগটুইকাণ্ড এবং বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। আগুনে ঘর-বাড়ি পুড়ে ছারখার, জীবন্ত পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে আটটি প্রাণ। এর মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন। সেই লড়াইয়ে আজ হেরে গেলেন নাজিমা বিবি। আর এই ঘটনা নিয়েই ফের সরব হলেন রাজ্যপাল।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল। অমিত শাহের (Amit Shah) বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এদিকে, বিধানসভায় হাতাহাতির পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল।
এদিন জগদীপ ধনকড় এই প্রেক্ষিতে একটি টুইটও করেন। তিনি বলেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধীদের প্রতিনিধিদল এবং বরখাস্ত বিধায়করা এসেছেন। বিধানসভার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে আলচনা না করা অগণতান্ত্রিক।"
সোমবার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিধানসভায় ধুন্ধুমারকাণ্ড। তৃণমূল-বিজেপির বিধায়কদের হাতাহাতিতে আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। দু’পক্ষের মহিলা বিধায়করাই, পরস্পরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ। কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা।
বিধানসভা চলছে, অথচ রামপুরহাট নিয়ে কেন যাবতীয় সরকারি ঘোষণা বাইরে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? একইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার দাবি করেন শুভেন্দু। তখন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আলোচনার জন্য আপনারা কোনও নোটিস দেননি। আর, অধিবেশনের শুরু থেকে প্রতিদিনই আপনারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে ওয়াকআউট করছেন। অধিবেশনের শেষ দিনে, কেন এই কথা বলছেন? এরপরই, বিজেপির আবেদন খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।