পশ্চিম বর্ধমান: সদ্য কলকাতায় দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে গিয়েছেন অমিত শাহ। আর এসে,' রাজনীতির কোনও কথা বলব না' বলে,  'বাংলায় পরিবর্তনের' বার্তা দিয়ে উসকে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কলকাতায় সন্তোষমিত্র স্কোয়ারের এবারের পুজোর থিম রাম মন্দির। আর এখানেই বাংলার দুর্গাপুজোয় লোকসভার হাওয়া। আর এবার এদিন দুর্গাপুরে পুজো উদ্বোধনে এসে আরও একধাপ এগিয়ে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, 'দুর্গাপুরে শিল্প শুকিয়ে যাচ্ছে..'। বিরোধী দলনেতার নিশানায় এবার কে ?


এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,' ষষ্ঠীর বোধনের সময় থেকে সপ্তমীর নির্ঘণ্ট, অষ্টমীর পুস্পাঞ্জলী থেকে দধিকর্মার সময় নির্দিষ্ট থাকে। আমরা এইগুলি মেনেই এই পুজো করি। আমাদের ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের দুর্গাপুর, যদিও দুর্গাপুর এখন বিশেষ করে শিল্পের ক্ষেত্রে অনেকটাই ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। এটা আমরা কেউ আশা করি না। তবু দুর্গাপুর, দুর্গাপুর..। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমঞ্চলের রাজধানী হল দুর্গাপুর..।'


প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভায় তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য এবার 'শিল্প।' কথা মিলিয়েই রাজ্যে বিজিবিএস অর্থাৎ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছিল। একাধিক শিল্পকর্তা বাংলায় বিনিয়োগের কথা দিয়েছিলেন। যদিও বাংলায় শিল্পের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে কর্ম সংস্থান। তাই অন্য ইস্যুগুলির থেকেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সরকার গঠনের পর বাম আমলে কী ছিল, কী হয়েছে ? একথা বর্ষীয়ান নেতাদের মুখে মুখে ফিরেছে বারবার। তৎকালীন নিয়োগের প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে যার পাল্টা জবাবও দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে লোকসভা ভোটের আগে ফের শিল্প ইস্যুই ফিরল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে। 


আরও পড়ুন, পার্ক সার্কাসে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এবার ২ মাসের শিশুর মৃত্যু


প্রসঙ্গত, গতকাল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন অমিত শাহ। (Amit Shah in Kolkata)। এসেই স্পষ্ট বলেন, 'আজ আমি কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি..'। কিন্তু তা কি হয় ? যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম এবার 'রামমন্দির', সেখানে কোনও পরোক্ষভাবেও রাজনৈতিক কথা হবে না, এমনটা মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহলও। তাই চব্বিশের লোকসভার আগে রাজনীতি নিয়ে কিছু বলবেন না বলেও, এশহরে 'ফের আসার' বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেখানেই মাস্টারস্ট্রোক। মূলত ফের এসে যে রাজনীতির কথা বলবেন। তা নিয়ে জানান দিয়ে গেলেন শাহ। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, 'বাংলায়  পরিবর্তন আনবেন', মূলত ছুঁয়ে গেলেন সেকথাই।