সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মতিথি। যুগ নায়কের জন্মতিথিতে সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির জন্মভিটেয় সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে উৎসবের সূচনা হল। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে যুগপুরুষকে। দিনভর চলবে বিশেষ পুজো। 


শনিবার সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। করোনার বিধিনিষেধ না থাকায়, সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন ভক্তরা। ২ দিন আগে ১২ জানুয়ারিও স্বামীজির জন্মদিনে উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়িতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিনও বহু ভক্তের সমাগম হয়।                                                                                                   


অন্যদিকে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে বেলুড় মঠেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে সূচনা হয়। বেদ পাঠ, স্তব গান, বিশেষ পুজো ও হোমের আয়োজন করা হয়েছে। দিনভর চলবে নানা অনুষ্ঠান। করোনার কড়াকড়ি পার করে এবার ভক্তদের জন্য অবারিত দ্বার। থাকছে ভোগের ব্যবস্থা। যেসব ভক্তরা এসে পৌঁছতে পারেননি, তাঁদের জন্য় রয়েছে ইউটিউব ও ফেসবুকে সরাসরি দেখার সুযোগ। 
ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কগুলিতে 
Youtube - https://www.youtube.com/watch?v=BbINHgqrsqk


Facebook -  https://fb.watch/i1Xp_eKu0l/


 



এক নজরে স্বামীজির কিছু উক্তি - স্বামীজি বলেছিলেন, দুর্বলের ওপর কেউ অত্যাচার করছে দেখলে আমাদের উচিত, অত্যাচারীকে উত্তম মধ্যম দেওয়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার তোমার সব সময় আছে। সাহসী হওয়া ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা। - কীভাবে আসবে বহু প্রতীক্ষিত সাফল্য? স্বামীজি বলেছেন, ‘সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রবল অধ্যবসায়, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। অধ্যবসায়শীল সাধক বলেন, আমি গণ্ডুষে সমুদ্র পান করিব। আমার ইচ্ছামাত্রে পর্বত চূর্ণ হইয়া যাইবে। এইরূপ তেজ, এইরূপ সঙ্কল্প আশ্রয় করিয়া খুব দৃঢ়ভাবে সাধন কর। নিশ্চয়ই লক্ষ্যে উপনীত হইবে’। - তাঁর বাণীমাত্র সম্বল করে যাঁরা গভীর রাতে প্রাণের মশাল জ্বালিয়ে ক্ষুরধার পথ ধরে হেঁটেছিলেন, অগ্নিযুগের সেই পথিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘ওঠ, সাহসী হও, বীর্যবান হও। সব দায়িত্ব নিজের উপর গ্রহণ কর—জানিয়া রাখ, তুমিই তোমার অদৃষ্টের সৃষ্টিকর্তা। তুমি যে শক্তি বা সহায়তা চাও, তাহা তোমার ভিতরেই রহিয়াছে’।