কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ( National Medical College) সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরি। রোগীর পরিজনদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। ডিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
ঘটনা কী?
রবিবার তুলকালাম কাণ্ড বাধে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। যেখানে লাঠি চালাতে দেখা যায় সিভিক ভলান্টিয়ারকেও। রবিবার বেলা ১২ টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা শেহনাজ বেগম। পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ইমার্জেন্সিতে বসিয়ে রাখা হয়। দুপুর ২টো নাগাদ ৪৪ বছর বয়সি শেহনাজ বেগমকে কার্ডিওলজি বিভাগে পাঠানো হয় বলে দাবি পরিবারের। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাঁর হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে জানান চিকিৎসকরা। ফের তাঁকে এমার্জেন্সি বিভাগেই পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি, সেখানে রোগীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরেই শেহনাজ বেগমের হাতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর অবস্থার অবনতি নিয়ে নার্সকে প্রশ্ন করতেই শুরু হয় বচসা। কর্তব্যরত পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় রোগীর পরিজনদের। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে লাঠি চালাতেও দেখা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না। তাঁদের কাছে লাঠি থাকারও কথা নয়। তারপরও কীকরে হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের ওপর লাঠিচার্জ করলেন সিভিক ভলান্টিয়ার? সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের কাছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। যদিও, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির তরফে বলা হয়েছে, রোগীর পরিবার চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে, পুলিশকেও নিগ্রহ করেন রোগীর আত্মীয়রা। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর পরিজনেরা। রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধেও দুটি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মারধরের অভিযোগ করেছেন হোমগার্ড। একজন চিকিৎসক কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে রোগীর পরিবারের কোনও অশান্তি হয়নি। পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে রোগীর পরিবারের। এই ঘটনায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। এছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।