নয়াদিল্লি :  জুন অবধি ভয়াবহ গরমে পুড়েছে ভারতের বেশির ভাগ অঞ্চল। ইতিমধ্যেই ১১ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়ে গিয়েছে গত মাসে। সেই খরা কি পুষিয়ে দেবে জুলাই?  জুনে কম বৃষ্টি হওয়ায় মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল চাষীদের। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস,জুলাইয়ের বৃষ্টি সে-সব চিন্তা মুছে দেবে। বরং এবার বৃষ্টি বাড়বে, ফসলও ফলবে ভাল। ফলে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে এবার কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধির মুখই দেখবে। 


উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে জুলাইতে যত বৃষ্টিপাত হয়, তার গড় হিসেব করলে, এবার তার থেকে ১০৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হবে। জানিয়েছেন India Meteorological Department ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। এই সময়ে বৃষ্টিটা ফলন ভাল হওয়ার জন্য খুবই জরুরি। তাই জুলাইয়ের বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে দেশ। প্রতি বছর ১ জুন নাগাদ দক্ষিণ দিয়ে দেশে প্রবেশ করে বর্ষা। জুলাইয়ের ৮ তারিখের মধ্যে দেশের সব রাজ্যে বর্ষা চলে আসে। জমি ভিজলে চাষিরা ধান, সয়াবিন, আখের মতো ফসল বোনা শুরু করে। ২০২৪ এ  গত ১৪ বছরের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে দেশ। তাপপ্রবাহ জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বহু। তারপর আস্তে আস্তে দেশে ছেয়েছে বর্ষার মেঘ। এখন রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাবে শুধু বর্ষা ঢোকা বাকি। 


আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুসারে, জুনে ১১ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। একমাত্র দক্ষিণ ভারত ছাড়া সর্বত্র জুনের গড় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। বিশেষত জুনের দ্বিতীয় অর্ধে গরম যত বেড়েছে, বৃষ্টি তত কমেছে। ইতিমধ্যেই হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ের পাদদেশে অতি বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। এর ফলে বন্যাস রাস্তায় ধস নামার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এত বৃষ্টি হয়েছে যে, ১১ জন মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। বর্ষার দ্বিতীয় অর্ধে অতি সক্রিয় হবে লা নিনা ( La Nina ) । তার ফলে বাড়বে বৃষ্টি। কৃষি ও সেচের জন্য সারা বছরে যতটা বৃষ্টি প্রয়োজন হয়, সেই চাহিদাটা মূলত মেটায় বর্ষাকালই।   আশা করা যাচ্ছে, জুলাই সেই ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে দেবে।       


আরও পড়ুন : 


ধাপার মাঠপুকুরে ইঞ্জিন অয়েল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এলাকা ঢেকেছে কালো ধোঁয়ায়


 আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।