সন্দীপ সরকার, কলকাতা: একাধিক অভিযোগে তৃণমূলের (TMC) চিকিৎসক নেতা সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল স্বাস্থ্যভবনে (Swasthya Bhawan)। পোস্টারে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ নিয়ে, কারও নাম মুখে না আনলেও, সুশান্ত রায়ের ইঙ্গিত তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে।


একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ: দুর্নীতি থেকে বেআইনি সম্পত্তি বা জমি দখলের মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যভবনেই পড়ল পোস্টার। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যভবনে এখন উত্তরবঙ্গ লবির রমরমা। তার মাথা রয়েছেন এই সুশান্ত রায়। এর আগেও, বিভিন্ন সময় বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নীলবাতি গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।


সুশান্ত রায় উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের প্রাক্তন OSD ছিলেন। বর্তমানে রয়েছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি পদে। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টারে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের তরফে এক মহিলাকে দেওয়া জমি বেআইনিভাবে দখল করে প্রাসাদোপম বাড়ি এবং ব্যবসার কেন্দ্র বানিয়েছেন সুশান্ত রায়। শুধু অভিযোগ তোলাই নয়, পোস্টারে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের জমির নথির প্রতিলিপিও তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রচারে, মমতা ও অভিষেকপন্থী চিকিৎসকরা বলে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে।


নেপথ্যে কারা? কিন্তু, কে দিল এই পোস্টার? এটা কি তৃণমূলের চিকিৎসক নেতাদের দ্বন্দ্বের ফসল? কারও নাম মুখে না আনলেও, সুশান্ত রায়ের ইঙ্গিত তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে। যাঁরা, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রাজ্য সরকারের মনোনীত সদস্য। সুশান্ত রায়, সহ-সভাপতি, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল মেডিক্যাল কাউন্সিলে জলপাইগুড়ি থেকে কোনও একজন সহ-সভাপতি হবে এটা হয়তো কারও কারও গাত্রদাহ হচ্ছে। যারা হয়তো এতদিন ধরে মেডিক্যাল কাউন্সিল কুক্ষিগত করে রেখেছে। মেডিক্যাল কাউন্সিলে ওরা সরকার মনোনীত হয়েছে, কিন্তু কথা বলতে পারে না। ওদের ভিতরে তো পাপ আছে, আরো তো জানে কী করেছে।


রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে রাজ্য সরকারি মনোনীত সদস্য ৩ জন। তাঁদের মধ্যে দু-জন হলেন শান্তনু সেন এবং নির্মল মাজি। সুশান্ত রায়ের বিষয়ে শান্তনু সেন বলেন, এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না। নির্মল মাজি (Nirmal Maji) বলেন, উনি অনেক সিনিয়ার সদস্য। কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না।


আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya:'কেন্দ্রীয় এজেন্সি মানে তদন্তকে হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া', শুভেন্দু মন্তব্যের পাল্টা দেবাংশু