কলকাতা: প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (SujanKrishna Bhadra)। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'শেষ পর্যন্ত আইনের লম্বা হাত মাস্টারমাইন্ড পর্যন্ত পৌঁছল। কেউ রেহাই পাবে না, মাথারাও জেলে যাবে, সময় হয়ে গেছে।' আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা নিশানা করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)।


দেবাংশু বলেছেন, সারদা তদন্তের সময়েও আমরা রাজ্য সরকারের তরফে হায়েস্ট লেভেলে গিয়েছিলাম। রোজভ্যালির ক্ষেত্রেও আমরা হায়েস্ট লেভেলে গিয়েছিলাম। কারম আমাদের বিশ্বাস, এই সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত মানে, তদন্তকে কোল্ড স্টোরেজে পাঠিয়ে দিয়ে, ঠান্ডা করে দেওয়া। আজ তা প্রমাণিত, ১০-১২ বছর হয়ে গেল, সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে কিছু আউটকাম বেরিয়ে আসেনি। শুভেন্দু অধিকারী মনে করেন, তদন্ত আটকাতে চাওয়া মানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ইনভলবমেন্ট আটকাতে চাওয়া মানে, , তারমানে কিছু সমস্যা আছে নিশ্চয়ই। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।শুভেন্দু অধিকারী কি এই কারণেই কি নন্দীগ্রাম পুনগণনা মামলায়, যেটায় লোডশেডিং করে উনি জিতিছিলেন, সেটা বারবার আদালতে গিয়ে বলবেন, পিছানো হোক , পিছানো হোক, তাহলে সেক্ষেত্রেও কি ডাল মে কুছ কালা হ্যায় ?'


উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) মঙ্গলবার প্রায় মাঝরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি (Enforcement Directorate)। তথ্য গোপন, তদন্তে অসহযোগিতা করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। 'কালীঘাটের কাকু' নামে যাঁর পরিচিতি তিনি নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সংস্থার কর্মরত এক কর্মী হিসেবে নিজেকে বর্ণণা করেছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম।


পরে কুন্তল ঘোষের মুখেও শোনা গিয়েছিল তাঁর নাম। চলতি মাসের ২০ মে যখন সিবিআইয়ের ডাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনও কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। চলেছিল ম্যারাথন তল্লাশি। জিজ্ঞাসাবাদ। চলতি বছরের শুরুতেই অবশ্য কালীঘাটের কাকু দাবি করেছিলেন, তাঁর সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না। বড়জোড় তাঁর কাছে এসেই সব থেমে যাবে।


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


গত ২২ ফেব্রুয়ারি এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, 'আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারোর ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ, তাঁর নাম কেউ করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। তাই যা চেষ্টা হচ্ছে, সেটা আমার পর্যন্ত এসে থেমে যেতে হবে।' যার পরই তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু জুড়েছিলেন, 'আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর অফিসে চাকরি করি। ২০০৯ সাল থেকে।' প্রসঙ্গত, যে প্রসঙ্গে কালীঘাটের কাকুকে চেনেন কি না জানতে চাইলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'আমি চিনতাম, কিন্তু কীভাবে চিনি, সেটা আপনাদের বলব না।'