কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Agitation) লাইভ স্ট্রিমিংয়ের শর্ত মানল না সরকার। যার জেরে ভেস্তে গেল বৈঠক। ২ ঘণ্টার বেশি নবান্নের বাইরে ঠায় বসে থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নাস্থলে ফিরলেন আন্দোলনকারীরা।
ধর্নাস্থলে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা: নবান্নে পৌঁছেও ফিরে গেলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দু পক্ষই অনড় রইলেন অবস্থানে। ওপরে নবান্নের সভাঘরে বসে রইলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সামনে সার দেওয়া ফাঁকা চেয়ার। নিচে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন বলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি হল না সরকার ।সরকার বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি না হওয়ায় নবান্ন থেকে ফিরে এলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "স্বাস্থ্যের যে ভঙ্গুর অবস্থা তা সবার সামনে চলে এসেছে। সেটাকে ধাকার জন্য কর্মবিরতিকে ঢাল করা হচ্ছে। কোনও মানুষের মৃত্যু হলে সবথেকে বেশি দুঃখ পায় তাঁর পরিবার এবং চিকিৎসক। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী অবস্থা, তা নিয়ে যদি আলোচনা করতে চায়, তাহলে আমরা তা করতে রাজি আছি। শুরুর দিন থেকে আমাদের এই আন্দোলনে চিকিৎসক সমাজ যোগ দিয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছেন। ন্যায়বিচারের জন্য। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া মেনে নিতে ভয় পাচ্ছেন। আমাদের আন্দোলন অরাজনৈতিক ও দলীয় স্বার্থবিহীন। দলীয় স্বার্থের সঙ্গে যোগ করে যখন কেউ বা কারা চায় তখনই তারা এই রং দেখতে পায়। প্রথম দুটো ইমেলে মুখ্যমন্ত্রী যে বসতে চান, এটা কোথাও লেখা ছিল না। খোলা মনে আলোচনার যে জায়গা সেটা কোথায়। যে মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বসতে চেয়েছেন সেই মুহূর্তে আমরা গিয়েছি। ২০১৯ সালে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। আমাদের দিক থেকে যদি মনে হয় আলোচনায় বসতে চাইছি না, তাহলে সেটা ভুল বার্তা যাবে।''
গত কয়েকদিন ধরে বারবার সরকার দাবি করছে, জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার কর্মবিরতির ফলে সরকারি স্বাস্থ্য় পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাচ্ছে না। এদিনও সেই তত্ত্বেই বারবার শান দিল তারা। কৌশলে দায় চাপাল আন্দোলনকার জুনিয়র চিকিৎসকের ঘাড়ে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি। যে কোনও মৃত্যু মর্মান্তিক। কিন্তু এত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে? ডাক্তারেরা ভগবান। এত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। আমার হৃদয় কাঁদছে। ওঁরা ছোট, আমাদের কাজ আবেগকে মর্যাদা দিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া। আমরা ভেবেছিলাম, ওঁরা রাজি হবে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।