কলকাতা: উত্তর থেকে দক্ষিণ-জেলায় জেলায় ট্যাবের টাকা গায়েব। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে নবান্নে বৈঠকের ডাক। 


ঘটনা কী? 


ডিজিটাল যুগে অনলাইনে ক্লাস একপ্রকার বাধ্যতামূলক। আর সেই কারণেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কিনতে, 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে পড়ুয়াপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, সেই টাকা অ্যাকাউন্টে পড়া নিয়েও টানাপোড়েনের শেষ নেই।  কারও অ্যাকাউন্টে পৌঁছচ্ছেই না ট্যাবের টাকা, 
তো অনেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে দুবার করে ঢুকে যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা। ঠিক যেমনটা হল মুর্শিদাবাদে। এই জেলায় ১৭টি স্কুলে মোট ৪৮৪১ জন ছাত্রের অ্যাকাউন্টে ২ বার ঢুকেছে ট্যাবের টাকা। যে টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ। বিষয়টি সামনে আসতেই, দ্বিতীয় বার পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া টাকা পুনরুদ্ধার করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে চিঠি দিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক।

একদিকে যখন মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ২ বার করে ট্যাবের টাকা ঢুকছে তখন দুর্গাপুরে কার্যত উলটপুরাণ। সেখানে ৭ জন পড়ুয়ার টাকা জমা পড়ল অন্যের অ্যাকাউন্টে। তাও আবার জেলার বাইরে। পশ্চিম বর্ধমানে ৭ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা জমা পড়ল উত্তর দিনাজপুরে। ৭ পড়ুয়ার যে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই একই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উত্তর দিনাজপুরের শাখায় অন্য ৭ জনের অ্যাকাউন্টে পড়েছে টাকা। শুধু তাই নয়, সরকারি প্রকল্পের সেই টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলেও নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।


কী নির্দেশ প্রশাসনের?                                    

আর এই আবহে এবার পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে প্রশাসন। এদিন নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। শিক্ষা দফতর ছাড়াও বৈঠকে আছেন মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার DM, SP-রা। ডিজিপির উপস্থিতিতে ৫ জেলার DM, SP-র সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে নবান্নে। কীভাবে একজনের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে? দেওয়া হয়েছে তদন্তের নির্দেশ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।     


আরও পড়ুন: RGKar Case: বিনীত গোয়েল...নিজে আমাকে ফাঁসিয়েছেন, আজও প্রিজ়ন ভ্যান থেকে চিৎকার সঞ্জয় রায়ের