কলকাতা: রানাঘাটে (Ranaghat) স্বপ্নদীপের মামারবাড়িতে অপেক্ষারত মা-বাবা এখনও জানেন না বড় ছেলে আর ফিরবে না। যাদবপুরের (Jadavpur) প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার বাবার দাবি, গতকাল ফোনে ছেলে জানায়, খুব চাপে আছি। আমাকে নিয়ে যাও। এখানে থাকতে পারছি না। কীসের চাপ, তা অবশ্য বুঝে উঠতে পারছে না মেধাবী ছাত্রের পরিবার। বাবার দাবি, রাতে হস্টেল কর্তৃপক্ষের ফোনে জানতে পারেন, ছেলের পড়ে যাওয়ার কথা। কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে গেলেও ছেলেকে দেখতে দেওয়া হয়নি বলে বাবার অভিযোগ।
একাধিক প্রশ্ন! যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। বিজ্ঞানের ছাত্র স্বপ্নদীপ বাংলা পড়তে ভালবাসতেন। পরিবারের দাবি, বগুলা কলেজে তালিকায় নাম থাকলেও যাদবপুরে ভর্তি হন। গতকাল রাত ৯টা নাগাদ মা-বাবার সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয় স্বপ্নদীপের। সহপাঠীদের দাবি, বছর ১৮-র ওই পড়ুয়া গতকাল ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
তাহলে কি পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিং? এমনই অভিযোগ তুলেছেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মামা অরূপ কুণ্ডু। তাঁর দাবি, তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করে ভাল লেগেছে বলে জানিয়েছিলেন ওই ছাত্র। কিন্তু গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বারবার বাড়িতে ফোন করে ভয় লাগছে বলে জানান। হস্টেলের পরিবেশ ওই পড়ুয়াকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল বলে পরিবারের দাবি। মামার দাবি, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার পর, ছেলেকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি মা। স্বপ্নদীপ ফোন তোলেননি বলে মামার দাবি। মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিং সন্দেহে থানার দ্বারস্থ হতে চলেছে ছাত্রের পরিবার। র্যাগিংয়ের অভিযোগ মেলেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয়গোপাল শর্মা।
রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মাঝরাতে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালির বগুলায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওরিয়েন্টেশন-সহ প্রথম তিনদিন ক্লাস করেছিলেন স্বপ্নদীপ। পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারছেন বলে খুশিও ছিলেন। কোনও সমস্যার কথা জানাননি। মেলেনি সুইসাইড নোট।