কলকাতা: এসএসকেএম-বিতর্কে আরও বেলাগাম মদন মিত্র। রোগী ভর্তি নিয়ে সংঘাত, দলকেও চ্যালেঞ্জ মদনের। হাসপাতালে অশান্তি বরদাস্ত নয়, পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি এসএসকেএমের। মেডিক্যাল অফিসারকে হেনস্থা করার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। 


হুঁশিয়ারি SSKM কর্তৃপক্ষের: এদিন সাংবাদিক বৈঠকে SSKM কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, 'ট্রমা কেয়ার সেন্টারে সব ভেন্টিলেটরেই রোগী ভর্তি ছিল। সেটা বুঝিয়ে বলার পর তাঁরা প্রথমবার চলে যান। ফের তাঁরা আসেন। মেডিক্যাল অফিসার যিনি ছিলেন তিনি ভাল করেই বোঝান অন্য কোনও নার্সিংহোমে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীকে সরাসরি ভর্তি নিতে পারব না। ফের রাত দুটো নাগাদ ট্রমা কেয়ার সেন্টারের কাছে যে চিকিৎসক অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ধমকান, গালিগালাজ করেন। ভর্তি করতে না পারলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা খারাপ এটা সহ্য করার মতো জায়গায় নেই। এই ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের রোগীর আত্মীয়দের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়, সেটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করতে রাজি নই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সকালেই কথা হয়েছে। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। হাসপাতালে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে। এর বিরুদ্ধে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেব।' 


বৃহস্পতিবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব টেকনিশিয়ান বছর ২৪-এর শুভদীপ পাল। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল SSKM-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে, গুরুতর জখম শুভদীপের কোনও চিকিৎসাই করেননি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ভর্তি করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। রাত ২টো নাগাদ হাসপাতালেও গিয়েও আহত যুবককে ভর্তি করতে ব্যর্থ হন মদন মিত্র। শেষপর্যন্ত তাঁর চেষ্টায় ওই যুবককে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মদনের বিস্ফোরক মন্তব্য, 'এটা সিপিএমের আমল হলে, এতক্ষণে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যেত। এখানে দালাল ঘুরছে। এখন টাকা দিলেই SSKM-এ সঙ্গে সঙ্গে দেখানো যায়। স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস সবাইকে ফোন করার পরেও রোগীকে ভর্তি করা যায়নি। ৬ ঘণ্টা ধরে বিনা চিকিৎসায় অ্যাম্বুল্যান্সে পড়েছিল।'


এদিন মদন মিত্র বলেন, অনুরোধ একটাই একমাসের মধ্যে ভোট করবেন। কী দিয়েছেন? গেলে একটা বিধায়ক পদ যাবে। দরকারে টিউশন করে খাব। আমি যদি বই লিখি, সেই বই বেস্ট সেলার হবে। বইমেলার থিম যাই করুন না কেন, আমার বই-ই বেস্ট সেলার হবে।' অবস্থানে অনড় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর কথায়, 'আমি মুকুল, সোনালী, শুভেন্দু, দীনেশ ত্রিবেদী নই, আমি মদন মিত্র'। কুণালের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ছিল, এখন দলের প্রিয় মুখপাত্র। চাইলে দল ছেড়ে দেব, কিন্তু প্রতিহিংসার শিকার যেন না হয় পরিবার।'   


আরও পড়ুন: Aloe Vera: গরমের মরসুমে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা, সমাধান পাবেন এইসব সমস্যা থেকে