কলকাতা: ৩ মাসের (Three Months) মধ্যে টালা ব্রিজ (Tallah bridge) খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য। ব্রিজ পরিদর্শনের পর একথা জানালেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। তিনি জানিয়েছেন, টার্গেট ছিল ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ব্রিজ খুলে দেওয়া হবে। করোনা আবহে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। যদিও ৩ মাসের মধ্যেই টালা ব্রিজ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল।


উল্লেখ্য, উত্তর কলকাতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টালা ব্রিজ।    স্বাস্থ্য পরীক্ষায়  ধরা পড়েছিল পুরানো এই সেতুর র্জীর্ণ অবস্থার বিষয়টি। তার পরেই রেলের সঙ্গে আলোচনার করে সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে নতুন করে সেতুটি তৈরির কাজও শুরু হয়। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় আপাতত বিকল্প পথে যান চলাচল করছে। টালা ব্রিজ খুলে গেলে যান চলাচলের ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা মিটে যাবে।


এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, আসন্ন পয়লা বৈশাখের আগেই নতুন চেহারায় খুলে দেওয়া হতে পারে টালা ব্রিজ। এমনই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। রাজ্য বিধানসভায় সরকারের এই পরিকল্পনার কথা গত বছরের নভেম্বরে জানিয়েছিলেন পূর্তমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে, মার্চ-এপ্রিলে নাগাদ রেল ওভারব্রিজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এদিন সেতু পরিদর্শনের পর মন্ত্রী জানালেন, তিন মাসের মধ্যেই এই ব্রিজ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।


নতুনভাবে টালা ব্রিজ গড়তে দুই বছরের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে কাজে কিছু সমস্যা হয়। পরবর্তী কালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজের ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এরপর আগামী তিন মাসের মধ্যে এই সেতু চালু করা যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিন সেতুর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন মন্ত্রী। এরপর মলয় ঘটক জানিয়েছেন, গোটা প্রকল্পের জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। শুধু মাত্র নতুন ব্রিজ তৈরিতে  ৩৪৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।


উল্লেখ্য, শুধু কলকাতারই নয়, বৃহত্তর উত্তর ২৪ পরগনা সহ বেশ কয়েকটি জেলার যাতায়াতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু।