কলকাতা: ট্য়াংরায় পরিবারের দুই মহিলা ও এক নাবালিকাকে খুনের পিছনে দুই ভাইয়ের হাত রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। প্রণয় ও প্রসূন দে-র বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে পুলিশ। এর মধ্যেই সামনে এসেছে এই পরিবারের বিদেশ ভ্রমণের বহু ছবি। বিলাসবহুল জীবনযাপনের কারণেই কি বিপুল ঋণ? উঠছে প্রশ্ন। 


ট্য়াংরার বাড়িতে, বন্ধ দরজার ওপারে ঠিক কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেক। তবে দুই গৃহবধূ এবং এক কিশোরী--- মোট তিনজনের খুনের নেপথ্য়ে যে দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূন, সে বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত পুলিশ। যে প্রশ্নগুলো এখনও রয়ে যাচ্ছে, তা হল, দুই ভাই মিলে কি দুই বউয়ের হাত এবং গলা কেটেছিল? নাকি কোনও একজন এই কাজ করেছিল? ইতিমধ্য়ে তদন্তে উঠে এসেছে, সম্প্রতি এই পরিবারের ঘাড়ে চেপেছিল কয়েক কোটি টাকার ঋণের বোঝা। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন দে-কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা কারখানার জন্য় যে জায়গা ভাড়া নিয়েছিলেন, সেই ভাড়ার টাকাও কয়েক মাস ধরে দিতে পারছিলেন না। বাজারে কয়েক কোটি টাকা দেনা হয়ে গেছিল ২ ভাইয়ের। এমনকী ট্যাংরার বাড়িটিও বন্ধক রাখতে হয়েছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে।





কিন্তু, এই অবস্থার কারণ কি শুধুই ব্য়বসার মন্দা? সেই প্রশ্নটা তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। কারণ, প্রণয় এবং প্রসূন--- দুই ভাইয়ের বিদেশে বেড়ানোর বেশ কিছু ছবি সামনে এসেছে। প্রণয় ও প্রসূন দে-র সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলেও ছবি বলছে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জার্মানি-সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় সপরিবারে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাঁরা। প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়িতে নিয়মিত অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা থেকে খাবারও আসত। বিপুল ঋণের নেপথ্য়ে এই বিলাসবহুল জীবনযাপনও একটা কারণ কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই ভাই এবং নাবালক পুত্র এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কি ট্য়াংরাকাণ্ডের কিনারা হবে? জানা যাবে সত্য়িটা? আপাতত সেদিকেই নজর তদন্তকারীদের।


এদিকে গতকাল দুই মহিলাকে কুমোরটুলি ঘাট থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, ট্রলিব্যাগে পুরে দেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনি ঘোষ সম্পর্কে মা-মেয়ে।মৃতের নাম সুমিতা ঘোষ। সুমিতা আরতির মেয়ে ফাল্গুনির পিসি শাশুড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সকাল ৭টা নাগাদ ট্যাক্সি করে কুমোরটুলি ঘাটে আসেন মাস্ক পরা দুই মহিলা। ভারী ব্যাগ টেনে গঙ্গার ঘাটে আনতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। 


আরও পড়ুন: Jadavpur University: ফেল করেও স্কলারশিপ দাবি! রাতভর যাদবপুরের উপাচার্যকে ঘেরাওয়ের অভিযোগ