কলকাতা: দু'ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা দূরঅস্ত বরং লেলিহান শিখা ক্রমশই আঁচ বাড়িয়ে তুলছে ট্যাংরায়। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক, এমনটাই মত। ট্যাংরার মেহের আলি লেনে গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে এদিন। আগুন নেভাতে গিয়ে ইতিমধ্যেই আহত হয়েছে তিন দমকলের কর্মী।
শনিবার হঠাৎই আগুন লাগে ট্যাংরার রেক্সিন, ফোম, কাপড়ের গুদামে। আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ আগে আগুন লাগলেও, দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে হিমশিম দমকল। রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা পুলিশ। আগুনের এতটাই তাপ যে হাতে রুমাল চাপা দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি।
স্থানীয় কাউন্সিলর জীবন সাহা জানান, "দমকলের তিনজন কর্মী আহত হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি আশেপাশের বাড়িতে যাতে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে। যতটা পাড়ছি প্রাণহানির এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"
ভরসন্ধেয় ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে। এদিন সন্ধে নাগাদ হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ট্যাংরার (Tangra) গুদামের পাশেই রয়েছে বসতি অঞ্চল। প্রাথমিকভাবে গুদামে আগুন লাগলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের বাড়িতেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার এক ঘণ্টা পর দমকল ঘটনাস্থলে আসে। প্রাথমিকভাবে ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আগুন নেভাতে সামিল হন স্থানীয়রাও। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে এদিন সকালে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে গেস্ট হাউসে আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক বাংলাদেশি মহিলার মৃত্যু হয়। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আরও ২ বাংলাদেশি নাগরিক। আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ওই গেস্ট হাউসে আগুন লাগে। ১১টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় চিকিত্সা করাতে আসা ২৮ জন বাংলাদেশি ওই গেস্ট হাউসে ছিলেন। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসেন। পরে দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঝলসে, দমবন্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬০ বছরের শামিমাতুল বেগমের। তিনি বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। গেস্ট হাউসে যান ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশি মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত দেহ ফেরানোর ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ হাই কমিশন।