সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: সোমবার তড়িঘড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির ড্রাইভারকে। মঙ্গলবার তাঁকে আসতে নিষেধও করা হয়েছিল। তাহলে কি অনেক আগে থেকেই, নিজেদের শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন ট্য়াংরার দে পরিবারের সদস্যরা? ট্যাংরা হত্যাকাণ্ডে রহস্য বাড়ছে পিলারে ধাক্কা মারা গাড়িকে ঘিরে।             



প্রণয় ও প্রসূন দে-র গাড়ি থেকে রিস্টব্যান্ড উদ্ধার হয়েছিল আগেই। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে মিলেছে ১২টি চাবির একটি গোছা। ওই চাবির গোছা অটল শূর রোডের ২১ বাই সি, চিত্তনিবাসের অর্থাৎ, বাড়ির দরজা বাইরে থেকে লক করেই বেরিয়েছিলেন দুই ভাই। সদর দরজা থেকে গ্যারাজ, সব চাবিই রয়েছে ওই গোছায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গিয়ার বক্সের পিছনে, গাড়ির মেঝেয় একটি গাঢ় নীল রঙের বোতাম মিলেছে। ওই বোতামে রক্ত লেগেছিল।


পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রাইম সিনে কে বা কারা ছিল, তা নির্দিষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ওই বোতাম। কার জামাতে ওই বোতাম ছিল, তা খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করছেন তদন্তকারীরা। গাড়ির সামনের ও পিছনের সিট এবং মেঝেয় প্রচুর রক্তের দাগ মিলেছে। সেই সব রক্তের দাগও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।                                                             


আরও পড়ুন, বীরভূমে নৃশংস খুন! দুই শিশু-মায়ের গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার 


ট্যাংরার দে পরিবারের গাড়ির চালক জানিয়েছেন, আমার তো ওই দিন ছুটি ছিল। যাইনি কাজে। আমাকে বারণ করেছে। আমার দরকার পরলে কৈলাসজি ডাকব। ডাকল না। বড়দাই বলল। বারণ করেছিল মঙ্গলবার আসবে না। মঙ্গলবার আমরা যাইনি তাই। 


প্রতিবেশীরা বলছেন, সোমবার সকালে দে বাড়ির ছোট বউ, রোমিকে ছাদে জামা কাপড় মেলতে দেখলেও, সন্ধের পর আর, বাড়িতে আলো জ্বলেনি। প্রতিবেশীদের দাবি, কয়েকদিন ধরে নিরাপত্তারক্ষীকেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। কদিন আগেও যে বাড়িটা গমগম করত, আজ সেটা খাঁ খাঁ করছে। মাঝে মাঝে সেদিকে তাকিয়ে শিউড়ে উঠছেন প্রতিবেশীরা।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে