পুরুলিয়া: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Tapan Kandu Murder Case) খুনের ঘটনায় আইসি-র ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্ট (Calcuta High Court) প্রশ্ন তোলার পর তৎপর হল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। সূত্রের খবর, তপন কান্দু খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঝালদা (Jhalda Murder Case) থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে তলব করা হয়েছে। ঝালদায় আসছেন সিবিআইয়ের ডিআইজি। আইসি-কে থানাতেই জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।


অভিযুক্ত চার জনকে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই


অন্যদিকে, তপন কান্দু খুনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তকে আজ হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই, খবর সূত্রের। এর আগে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর পরিবার ঝালদা থানার আইসি-র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে। 


আরও পড়ুন: Purulia News: পুরবোর্ড গঠন নিয়ে ঝামেলার জের, চার কংগ্রেস নেতা, ২৫০ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের


কংগ্রেসের কাউন্সলের খুন হওয়ার পিছনে গোড়া থেকেই আইসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে পরিবার। সম্প্রতি তাদের তরফে একিট অডিও ক্লিপও প্রকাশ করা হয়। এবিপি আনন্দ ওই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি। তাতে তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু এবং আইসি-কে কথা বলতে শোনা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। রেকর্ড করা ওই কথোপকথনে বয়ান বদলের জন্য তপনের স্ত্রী পূর্ণিমাকে চাপ দেওয়ার কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, কাকার খুনের বদলা নিতে চাইলে তাঁর বন্দুক থেকেই গুলি চালানোর কথা বলতে শোনা যায় আইসি-কে।


আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা


নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী ইতিমধ্যেই আদালতে গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তার মধ্যেই সম্প্রতি তপনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিরঞ্জন ঘোষ আত্মহত্যা করেন। তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন। সুইসাইড নোটে নিরঞ্জন লিখে গিয়েছেন, জীবনে থানার চৌকাঠ পার করেননি তিনি। কিন্তু তপন খুন হওয়ার পর থেকে বার বার তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছিল পুলিশ। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তাই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


নিরঞ্জনের আত্মহত্যআ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পূর্ণিমা। তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার প্রত্যদর্শী ছিলেন। তার জন্যই নিরঞ্জনকে হেনস্থা করা হচ্ছিল কি না, তিনি আরও কিছু জানতেন কি না, প্রশ্ন তুলেছেন পূর্ণিমা।