অরিত্রিক ভট্টাচার্য, ঝালদা, পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এল সিবিআইয়ের তদন্তে। ভাড়াটে খুনি সম্পর্কে মিলল তথ্য।


কী তথ্য?
সিবিআই সূত্রের খবর, খুনের দিন ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিল শার্প শ্যুটার। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র একলক্ষ টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছিল।


কটা গুলি চলে?
ওই ঘটনায় খুনের জন্য তিনটি গুলি চালায় দুষ্কৃতী। তার মধ্যে একটি গুলি বন্দুকের নলে আটকে যায়। খুনের পর কলেবর সিং-ই বাইক চালিয়ে ভাড়াটে খুনিকে পৌঁছে দিয়েছিল ঝাড়খণ্ডে, দাবি সিবিআই সূত্রে। সেখানে একটি ধাবায় বসে চা খায় দু’জন। তারপর সেখান থেকে আলাদা হয়ে যায়। খবর মিলেছে সিবিআই সূত্রে। যদিও ভাড়াটে খুনি এখনও অধরা।


এই ঘটনায় বিভিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে একজন গ্রেফতারও হয়েছে। ধৃতের নাম সত্যবান, ধৃত ব্যক্তি তপনের দাদা নরেন কান্দুর ঘনিষ্ঠ। ওই ঘটনার তদন্তে একাধিক জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 


প্রশ্নের মুখে পুলিশও:
বৃহস্পতিবার ঝালদা থানার আইসিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। 


তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনের পরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল? আইসি সঞ্জীব ঘোষের কাছে জানতে চেয়েছে সিবিআই। এমনই খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের। 
ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে কান্দুর পরিবারের। তাই এখন সিবিআইয়ের নজরে ঝালদা থানার আইসি। বৃহস্পতিবার তাঁকে দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদে করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রথম দফায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দেড়টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেল ৫টায় আবার ডাকা হয় তাঁকে।


বৃহস্পতিবারই তপন কান্দু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় FIR দায়ের করেছে সিবিআই। আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। যে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, এদিন সেই ঘর দেখেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। ফিতে দিয়ে মাপজোক করেন। নিরঞ্জন বৈষ্ণব কি আত্মহত্যা করেছেন? যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি কি তাঁরই হাতে লেখা? সূত্রের খবর, আগে এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে সিবিআই।