আবীর দত্ত, কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর শুক্রবার সিবিআই হানা দিল আরেক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার তেহট্টের বাড়িতে। বাড়িতে সিবিআই হানার পরেই দলের প্রতি অভিমানী তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা ( BJP MLA Tapas Saha ) । বিধায়কের আক্ষেপ, দল পাশে দাঁড়ায়নি। কেউ যোগাযোগও করেনি।
ম্য়ারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে ম্য়ারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিধায়কের বাড়ি, অফিস, এমনকি, তিনি যে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, সেই কলেজের ছাদে উঠে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা!
'আমার কাউকে প্রয়োজন নেই'
আগেও তাপস সাহা বলেছিলেন, 'দিদি আমাকে ভালবাসে, জানি না , কেন ভালবাসে জানি না। অন্য কেউ সেভাবে ভালবাসে না। অন্যদের কথা বলতে পারব না। ' আবারও এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আমার মাথার ওপর রয়েছে। অভিষেকের অফিসে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এখানে আমি তৃণমূলকে তৈরি করেছি। আমার কাউকে প্রয়োজন নেই, দলের আমাকে প্রয়োজন।' তিনি আরও দাবি করেন, মূলত টিনা ভৌমিক সাহা আর অন্যদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। সিবিআই হানার পর, এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নানা বিস্ফোরক দাবি করেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস
সাহা।
দল যে পাশে থাকবে না, আগেই জানিয়েছিল : টিনা
যে টিনাকে নিয়ে তাপস সাহার এত অভিযোগ, তিনি কী বললেন ? ' দলকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছোট করছেন তাপস সাহা। ওঁর নিজের ভুল। দল যে পাশে থাকবে না, আগেই জানিয়েছিল। উনি দলের নেতৃত্বকে ছোট করছেন। ওঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, ওঁকেই প্রমাণ করে আসতে হবে। ' তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে পাল্টা আক্রমণ নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা টিনা ভৌমিক সাহা-র।
বিধায়ক তাপস সাহা আরও বলেন, ' ওঁদের মনে হয়েছিল, আমার বাড়িতে সোনা, টাকা, জমির নথি পাওয়া যাবে। কিছুই মেলেনি, নিটফল শূন্য। ' বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে দাবি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার।
গত বছর, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে।
অভিযোগ ওঠে, সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল।
তদন্তে নেমে প্রবীর কয়াল-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজ্য পুলিশের Anti Corruption Branch বা দুর্নীতি দমন শাখা। মঙ্গলবার, হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার গেছে CBI-এর হাতে।