কলকাতা: চলচ্চিত্র জগতে (Film Industry) এক যুগের অবসান। বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অসুস্থ পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar Demise)। আজ সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে জীবনাবসান হয় তাঁর। কিংবদন্তি পরিচালকের প্রয়াণে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া। এনটিওয়ান স্টুডিওতে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শিল্পীরা। শোকস্তব্ধ অভিনেতা (Actor) ও রাজনীতিক (Politician) মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty)।
শোকপ্রকাশ মিঠুন চক্রবর্তীর
তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকের ছায়া শিল্পী মহলে। শোকপ্রকাশ করলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, 'তিনি আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একচ্ছত্র রাজা ছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে তরুণ দার মতো পরিচালকের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। আমার সেই সৌভাগ্যটা হয়নি। আমার এখনও মনে আছে 'বালিকা বধূ' আমি নিজে ১৮বার দেখেছি। আমাদের জন্য বিরাট বড় ক্ষতি। তবে তিনি যা দিয়ে গেছেন, তা নিয়ে আমরা অনেকদিন বেঁচে থাকব। তরুণ দা, তরুণ দাই, তাঁর কোনও পরিবর্ত নেই।'
১৯৩১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনাই পেশা হিসেবে বেছে নেন স্কটিশচার্চ কলেজের এই প্রাক্তনী। শচীন মুখোপাধ্যায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে যাত্রিক গোষ্ঠীতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম ছবি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া-পাওয়া’।
এরপর একের পর এক হিট ছবি রয়েছে তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন তরুণ মজুমদার। 'পদ্মশ্রী' সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন। তবে তাঁর সেরা প্রাপ্তি বাঙালি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ভালবাসা।