বিজেন্দ্র সিংহ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও দীপক ঘোষ, কলকাতা: শুধু জেলাস্তরের নেতা-কর্মীরাই নন। উপনির্বাচনে (By Poll) ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্য নেতৃত্বকে একহাত নিচ্ছেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan), অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) মতো প্রথম সারির নেতারা। নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেছেন তথাগত রায়ও (Tathagata Roy)।
বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর থেকে। বাংলায় একের পর এক ভোটে পরাজয়ের মুখ দেখতে হচ্ছে বিজেপিকে। এবার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির হাতে থাকা আসানসোল লোকসভাও হাতছাড়া হয়ে গেল। আর এই পরাজয়ই যেন বিদ্রোহের দরজা খুলে দিয়েছে।
তথাগতর ট্যুইট: রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে একে একে সরব হচ্ছেন বিজেপির সাংসদ-নেতারা। আসানসোল ও বালিগঞ্জে জোড়া হারের পর। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় ট্যুইট করে বলেছেন, উপনির্বাচনে বিজেপির যা ফল হল তা তো অপ্রত্যাশিত নয়। শুধু শুধু দুটো মেয়েকে এই উৎকট গরমের মধ্যে ঘুরিয়ে অপমান করানো হল। বেবুন এবং ফিটার মিস্ত্রি যা মজা লুটবার তা তো লুটে নিয়েছে। বিজেপির শোচনীয় ফল সেটা মজা লোটারই পরিণাম। কর্মীদের মনোবল তলানিতে। পেট্রল-গ্যাসের দাম গৌণ কারণ।
‘দিল্লি দাওয়াই’: ফল ঘোষণার দিনই নেতৃত্বের একাংশকে অপরিণত আখ্যা দিয়ে, তোপ দেগেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবার তাঁর মুখে উঠে এল ‘দিল্লি দাওয়াই’ প্রসঙ্গ। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে রবিবারই ফেসবুকে সরব হন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। এবার আরও বিস্ফোরক তিনি।
অনুপম হাজরার বক্তব্য: বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার কথায়, দু’একজন নেতাদের মধ্যে দেখেছি আত্মতুষ্টি, আমাদের মধ্যে কোনও খামতি নেই, আমাদের মধ্যে কোনও ঘাটতি নেই। গুডবয় সাজতে গিয়ে সংগঠন নষ্ট করেছে। কমিটেড কর্মীরা মিটিংয়ে বলার সুযোগ পাচ্ছেন না, মিটিং হবে না, মানুষ আত্মসমালোচনা করতে পারবে না। বঙ্গ বিজেপিতে এটা হওয়া উচিত নয়। কঠিন সময়...ভাল সময়।
এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় হল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুধবার বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বঙ্গ বিজেপিতে ডামাডোল সেই বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে। একের পর এক ভোটে হার হচ্ছে, আর তা বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোদি-শাহ-নাড্ডারা কীভাবে সামাল দেন, সেদিকেই সবার নজর।