পূর্ণেন্দু সিংহ, বাকুঁড়া: নিঃস্বার্থভাবে জনকল্যাণের কাজে অংশীদার হওয়ার নাম মানবতা। স্কুল জীবনের শুরু থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করার গুরুদায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তূলে নিয়েছেন বাঁকুড়া (Bankura) শহরের কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 


আর সেই লক্ষ্যেই বাঁকুড়ার মতো তথাকথিত পিছিয়ে পড়া জেলার ওই স্কুলে 'মানবতার দেওয়াল' ও 'সততা স্টোর' তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কী এই 'মানবতার দেওয়াল'? স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ এই দেওয়াল অনেক অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। অব্যবহৃত, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক এই দেওয়ালে যে কেউ টাঙিয়ে দিতে পারেন, আর সেখান থেকেই সংগ্রহ করবেন সেই সব মানুষ যাঁদের তা প্রয়োজন। তবে এই দেওয়াল সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকছে বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।


আরও পড়ুন: Medical College Corruption: দুই মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়


অন্যদিকে, 'সততা স্টোরেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। 'মানবতার দেওয়ালের ঠিক পাশেই 'সততা স্টোরে' ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে, 'সততার পরিচয় দাও, মূল্য দিয়ে পণ্য নাও' এর মতো কথা।


এখানেই শেষ নয়, সম্ভবত জেলার মধ্যে এই প্রথম কোনও সরকার পোষিত স্কুলেই প্রথম চালু হয়েছে 'স্বয়ংক্রিয়া হাজিরা পদ্ধতি', সঙ্গে ডিজিটাল ঘন্টা আর স্মার্ট ক্লাস রুম তো আছেই। এছাড়াও ক্ষুদে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে দেওয়াল জুড়ে আঁকা রয়েছে আস্ত ট্রেন। 'কেন্দুয়াডিহি জি.বি.এস এক্সপ্রেস' নামে ওই ট্রেনের ছবি এখন ছাত্র ছাত্রীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।


নানান কারণে যখন সরকার পোষিত স্কুলগুলি যখন ধুঁকছে। যার জেরে অভিভাবকরা বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিজেদের সন্তানদের ভর্তি করার দিকে ঝুঁকছেন। ঠিক তখনই পরিকাঠামো ও শিক্ষাগত দিক দিয়ে বেসরকারি স্কুল গুলিকে ধরে ধরে কয়েক গোল দিতে পারে কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়, এমনটাই বলছেন অনেকে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Junior Doctors Protest: পুলিশের সঙ্গে বচসা, জুনিয়র ডাক্তারকে লাথি মারার অভিযোগ; প্রতিবাদে অবস্থান; অবরুদ্ধ ধর্মতলা !


এপ্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক চন্দন দত্ত বলেন, "প্রথমত শিশুদের আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষাদানের ভাবনা থেকেই দেওয়াল চিত্রের কথা ভাবা হয়েছিল। সঙ্গে 'ড্রপ আউটের হার শূন্যতে নামানোও ছিল অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়াও দূর-দূরান্ত ছেলে মেয়েরা এই স্কুলে পড়তে আসে, স্বয়ংক্রিয় হাজিরা পদ্ধতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের কাছেও বার্তা পৌঁছে যাবে। ফলে তাঁরাও অনেকখানি নিশ্চিন্ত থাকবেন।" 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Murshidabad Erosion: গঙ্গায় তলিয়ে গেল বাড়ি থেকে চাষের জমি, ফের ভাঙন আতঙ্ক মুর্শিদাবাদে