কলকাতা: যতীন দাস পার্কে বিজেপির (BJP) মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার। বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। মিছিলের শুরুতেই পথ আটকাল পুলিশ। পুলিশের (Police) সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপির মহিলা কর্মীদের। নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরকাণ্ডে প্রতিবাদে বিজেপির (BJP) মিছিল।
বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার: মহিলাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। মিছিল কালীঘাট পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। এদিনের মিছিলের শুরুতে পথ আটকায় পুলিশ। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে। আটক করা হয় কর্মীদের। গোটা চত্বরেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বেলা ৩টেয় এই মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, কিন্তু তার আগে বেলা ২টো থেকেই রাস্তায় বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মী দেখলেই আটক করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে।
নারকেলডাঙায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি: প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদের জেরে নারকেলডাঙায়, অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত প্রোমোটার সহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। খাস কলকাতার বুকে, নারকেলডাঙা এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে অভিযোগকারী পরিবার। আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বার শ্বশুর শিবশঙ্কর দাস বলেন, “গাজা মইবুল, পরেশ পালের অবৈধ প্রোমোটিং ডিলার। তারা আমার বাড়ি দল করে রেখেছে। ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।’’ রবিবার রাতেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিযোগকারিণীকে। অভিযুক্ত প্রোমোটার সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে নারকেল ডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত।
লিলুয়ায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি: কলকাতার নারকেলডাঙার (Narkeldanga) পর এবার হাওড়ার লিলুয়াতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। জঞ্জাল পরিষ্কার নিয়ে বচসার জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ অগাস্ট, লিলুয়ার ভট্টনগরের এক বাসিন্দা, বাড়ির সামনে বৃষ্টির জলে ভেসে আসা জঞ্জাল পরিষ্কার করছিলেন। এই নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। রাতে ৮-১০ জন দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় ওই ব্যক্তির বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগকারিণীর কথায়, “ঘরে ঢুকে মার ধর। পেটে বাথি মারে। তৃণমূল নেতা কেশব ছিল।’’