বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: দাবি মতো পুজোর চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তমলুকের (Tamluk) বিবেকানন্দনগরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষকের পরিবারকে হেনস্থা, বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। স্থানীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কড়া বার্তা দিয়েছে পুরসভা।

ফের চাঁদার জুলুমের অভিযোগ! দাবি মতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পরিবারকে হেনস্থা! বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দিয়ে বাইরে থেকে গেটে তালা লাগানোর অভিযোগ।  আতঙ্কে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষকের পরিবার। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পুরসভার বিবেকানন্দনগর।

এলাকার বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক শিক্ষক।  তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন ‘তমলুক বিবেকানন্দনগর ডেভেলপমেন্ট কমিটি’ নামে একটি দুর্গাপুজো কমিটির লোকজন। পরিবারের দাবি, ২ হাজার ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন তাঁরা। ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না শিক্ষক। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, দাবি মতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়, দরজা খুলে ঘরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ক্লাবের সদস্যরা। দেওয়া হয়, বাড়ি ছাড়া করার হুমকি।

শিক্ষকের অভিযোগ, যাওয়ার সময় বাড়ির গেটে বাইরে থেকে তালা দিয়ে স্ত্রী ও ২ নাবালক সন্তাকে আটকে দেন ক্লাবের সদস্যরা। বাড়ি ফিরে তালা ভাঙেন তিনি।শুধু তাই নয়, পরিবারের দাবি, ঘটনা পর বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বাড়ির মালিক। 

শনিবার তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কড়া বার্তা দিয়েছেন কাউন্সিলর। ১৮নং ওয়ার্ড, তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর কানাইলাল দাস বলেন, ''দুঃখজনক। যারা জড়িত, তাদেরকে গরেফতার করা হবে। ২ পক্ষের কাছে জানব কী হয়েছে।''

ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষকের পরিবার। 

ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা হয়েছিল

এর আগে কয়েক মাস আগে, হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। দাবি মতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মারধরেরও অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। হামলার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল পুলিশ সূত্রে।

এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর চাঁদা কম দেওয়ায় হেনস্থার খবর বারবার উঠে এসেছে। গত বছর হরিদেবপুরে এমন ঘটনা সামনে এসেছিল। যেখানে মারধর করা হয়েছিল বাড়ির লোককে।