হাওড়া: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে এবার হাওড়ায় ইডি (ED)। হাওড়ায় এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়িতে হানা। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনোজ মালহোটের বাড়িতে তল্লাশি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একযোগে ৪ জায়গায় চলছে তল্লাশি। গরুপাচার মামলাতেও চার্জশিটে নাম রয়েছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনোজ মালহোটের।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় ইডি
একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই হাইকোর্টের নির্দেশে একাধিক মামালায় সক্রিয় তদন্তে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। সেগুলির মধ্য়ে সবথেকে বেশি হাইলাইটে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, গরুপাচার মামলা, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা, নারদ মামলা, রোজভ্যালি মামলা, সারদা মামলা। কিন্তু কলকাতা পুরভোট, পঞ্চায়েত ভোট পেরোতেই ইডি-সিবিআই সক্রিয় হয়ে উঠেছে রেশন দুর্নীতি মামলাতেও। এদিকে বছর পেরোলেই লোকসভা নির্বাচন। তারই আগে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েটদের শুরু হয়েছে ধর পাকড়। পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তো আছেই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের
প্রসঙ্গত, অগাস্টের শুরুতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল আদালত। টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালতে ডেকে ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠিয়েছিলেন বিচারক। আদালতে ডেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়া ওই ৪ শিক্ষকই ছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বাসিন্দা। নির্দেশের পর তাঁদের পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। মূলত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে তারা চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন চার অযোগ্য শিক্ষক। 'যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা?' বারবার প্রশ্ন তোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। কেন অভিযুক্তদের সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে? প্রশ্ন আদালতের।
আরও পড়ুন, খড়দায় তৃণমূলকর্মী খুনে গ্রেফতার দলেরই ২ কর্মী
নিয়োগ দুর্নীতির জাল কীভাবে ছড়িয়েছে ?
নিয়োগ দুর্নীতির জাল কীভাবে ছড়িয়েছে, কাদের তাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, কীভাবে চলত গোটা চক্র এই সমস্ত তথ্য জানার ক্ষেত্রে অযোগ্য শিক্ষকদের থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে সাক্ষী হিসেবে তাদেরকে দেখানো হয়েছিল বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা নিয়ে তীব্র উষ্ণাপ্রকাশ করে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এরা নিজেরা চাকরি 'কিনতে' টাকা দিয়েছেন। তাই দুর্নীতির দায়ে এই শিক্ষকরাও সমানভাবে দুষ্ট। তাই তাঁদের সাক্ষী নয় অভিযুক্ত হিসেবে জানিয়ে জেলে ভরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।