তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া:  টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে (Bankura Tender scam) ফের নতুন তথ্য। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyamaprasad Mukherjee) ঘনিষ্ঠ ধৃত রামশঙ্কর মোহান্তির ব্যাঙ্ক লকার থেকে প্রচুর সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার জমা পড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভায় ১০ কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রামশঙ্কর মোহান্তির নামে থাকা ব্যাঙ্কের লকার থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা।শুক্রবার রাতেই রামশঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ।আর তাঁকে জেরা করেই, সোনার সন্ধান মেলে। তদন্তকারীদের দাবি,বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনা আদতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোধ্যায়েরই। যা তিনি গচ্ছিত রেখেছিলেন রামশঙ্করের কাছে।এই ব্যক্তিই প্রাক্তন মন্ত্রীর হয়ে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি দেখভাল করতেন।


শুধু সোনা উদ্ধারই নয়, পুলিশের দাবি, পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হিসেব বহির্ভূত অর্থের খোঁজ মিলেছে।পুলিশ সূত্রে খবর,ফ্রিজ করা ৬টি অ্যাকাউন্টে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিপুল অঙ্কের টাকা জমা হয়। কোথা থেকে এই টাকা এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


এদিকে, টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় রবিবার জেল হেফাজত হল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। ৯ সেপ্টেম্বর ফের প্রাক্তন মন্ত্রীকে পেশ করা হবে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।
উল্লেখ্য,  ১০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, হয়ে যাওয়া কাজেও ডাকা হয় টেন্ডার। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।বিষ্ণুপুর পুরসভার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক হন।একাধিক দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন।ওই সময় তাঁর নাম জড়ায় সারদা দুর্নীতিতে। গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শ্যামাপ্রসাদ।ভোটের ফল ঘোষণার পরে তিনি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দরবার শুরু করেন।