সনৎ ঝা, দার্জিলিং: এসটিএফের (STF) জালে এবার  কেএলও কেএন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। ধৃতের নাম তাপস রায় (Tapas Roy)। শুক্রবার বিকেলে এসটিএফের তরফে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই তাকে আদালতে (Court) পেশ করা হয়। ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ১০দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দেন বিচারক (Justice)। 


অতীতে জীবন সিংহ ঘনিষ্ঠ তাপস রায় নাগাল্যান্ড পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল


অতীতে জীবন সিংহ ঘনিষ্ঠ তাপস রায় নাগাল্যান্ড পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল। পরবর্তীতে ধৃতকে আসাম পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। জেল হেফাজত কাটিয়ে ফের একবার জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে তাপস। সেসময় থেকেই এসটিএফের নজর ছিল তার ওপর। সম্প্রতি তাকে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশে সাড়া দিয়েই এদিন এসটিএফ অফিসে পৌঁছোয় তাপস। জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতি ধরা পড়তেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।


দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছিল ৩ সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি


এর আগে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে ৩ সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। পরে এনআইএ-এর হাতে ধৃতদের তুলে দেওয়া হয়েছিল । কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তিনজনকে জেরা করেই উঠে এসেছিল আব্দুল মান্নানের নাম। সেই অনুযায়ী সুভাষগ্রামের পাঁচঘরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। এনআইএ সূত্রে খবর এসেছিল, ধৃতের কাছ থেকে জাল ভোটার ও আধার কার্ড মিলেছিল বলে দাবি করা হয়েছিল ।


'পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গি, গ্যাংস্টারদের শেল্টার হয়ে গেছে'


দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে এনআইএ-র হাতে সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গির গ্রেফতারের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন,'পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গি, গ্যাংস্টারদের শেল্টার হয়ে গেছে। অথচ বিএসএফের সীমান্ত সীমা বাড়ানোর বিরোধিতা করছে রাজ্য সরকার। আসলে বিরোধিতার পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে।' 


আরও পড়ুন, 'ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ..', সন্দেশখালিকাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর, পাল্টা কুণাল, ADG জানালেন..


হরিদেবপুরে ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের জেরা করে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে এক জঙ্গির খোঁজ মিলেছিল। অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। ধৃতের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল দুটো ল্যাপটপ, আই প্যাড, মোবাইল ফোন ও সন্দেহজনক নথি।দক্ষিণ কলকাতা হরিদেবপুর থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩ জনকে। ধৃতদের নাম নাজিউর রহমান, সাবির ও রবিউল। তারা শহরে বড় কোনও নাশকতার ছক কষছিল বলেই অনুমান করছিল পুলিশ। জানা গিয়েছিল, সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন জেএমবি জঙ্গি। অন্তত এমনটাই দাবি কলকাতা পুলিশের এসটিএফের।