কলকাতা: ২০১৪-র টেটের (TET 2014 Exam) ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আর এবার সেই মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ( Justice Subrata Talukder) ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, '২০১৪ র প্রশ্ন ভুল মামলা, ৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তরদাতাদের নম্বর দিতে হবে'।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছিল আদালত
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছিল আদালত। বিশ্বভারতী জানায় যে অভিযোগের যৌক্তিকতা রয়েছে, অর্থাৎ প্রশ্ন ভুল। এ প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র মামলাকারীদের ওই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
শুধু মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন? বাড়তি নম্বর সবাইকে দিতে হবে
তাঁদের বক্তব্য, শুধু মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন? বাড়তি নম্বর সবাইকে দিতে হবে। বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে পরাজিত হন মামলাকারীরা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ১ এপ্রিল , ২০১৯ , মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এতদিন বিচারাধীন ছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে।
বছরের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য
২০১৪-র প্রাথমিক টেট দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় বছরের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তারই প্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, নিয়োগের ৮ বছর পর এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগেই হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করেছিল। এই আবেদনটিও খারিজের আবেদন জানায় তারা। কিন্তু রাজ্য়ের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন, 'সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা', CBI আদালতে পেশের আগে বললেন পার্থ
২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন ছিল বলে অভিযোগ করে মামলা হয়েছিল। সেই ভুল প্রশ্নের জেরে সব পরীক্ষার্থীই কি বাড়তি নম্বর পাবে এমন প্রশ্নও উঠেছিল। ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল। প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তারপরেই ওই প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি প্রশ্ন খতিয়ে দেখে জানায়, প্রশ্নে ভুল রয়েছে। তারপরে ২০১৮ সালে মামলাকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। বাড়তি নম্বর দেওয়ার জন্য শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু, শুধুমাত্র মামলাকারীদের মধ্যেই এই নির্দেশ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই ফের আরও একটি মামলা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, ওই নির্দেশ সবার জন্যই কার্যকর করতে হবে। শেষ অবধি সেই নির্দেশেই পড়ল এবার সিলমোহর।