ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে ইডি দফতরে এলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী।


ফের জিজ্ঞাসাবাদ:
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার প্রায় চার ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। ওইদিনই তিনি কিছু নথি জমা দিয়েছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই নথি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার শিক্ষিকার চাকরি গেছে। বেতনের টাকাও অঙ্কিতাকে ফেরত দিতে হয়েছে।


এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ:
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একেবারে প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন পরেশ অধিকারী। নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। সিবিআইয়েরও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরেশ।   


৭ নভেম্বর ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেদিনই ইডির কাছে কিছু নথি জমা দিয়েছিলেন পরেশ। সূত্রের খবর, ওই নথি সামনে রেখে পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।


বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ:
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পরেশ অধিকারীর। দুর্নীতি সামনে আসার পরপরই সামনে আসে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।  কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ইতিমধ্যেই পরেশ-কন্যার চাকরি গেছে। বেতনের টাকাও অঙ্কিতাকে ২ কিস্তিতে ফেরত দিতে হয়েছে। সেই সময়ই অঙ্কিতার বাবা, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, প্রভাব খাটিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে তিনি নিজের মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেন। যে অভিযোগ ওঠার পরই মন্ত্রিত্ব খোয়ান পরেশ অধিকারী ।    


জেল হেফাজতে মানিকও:
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জেল হেফাজত হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। সূত্রের খবর, গতকাল কোর্টে ইডির জমা দেওয়া নথিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের নামে পড়ুয়াদের থেকে ২০ কোটি টাকা তোলাবাজি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রী জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। অভিযোগ, ওই জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার সময় মৃত ব্যক্তির সই জাল করা হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, ওই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ইন্ট্রোডিউসর ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি, ইডি সূত্রে দাবি, যাঁরা তাপস মণ্ডলের অফিস থেকে টাকা নিয়ে আসত, তাঁদের মানিক নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর ভাই ও জামাইয়ের অ্যাকাউন্টে যেন ওই টাকা জমা করা হয়।  


আরও পড়ুন:  কামড়-বিতর্কে অবশেষে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল পুলিশ, তদন্তে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার