কলকাতা: ২০১৪ প্রাথমিক টেট (TET) দুর্নীতি মামলাতেও এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে কোর্টের (Calcutta High Court) ডেডলাইনের আগেই নিজাম প্যালেসে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরেই সিবিআইয়ের কাছে পৌঁছলেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। সূত্রের খবর, পর্ষদ সভাপতি-সচিবকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরেশ অধিকারীর পর এবার, মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ফের এক তৃণমূল বিধায়ক। 


২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে আজই বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের অফিসে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই আবহে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে শাসক ও বিরোধী দলগুলো। 


এ দিন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে। সেই মতো এদিন বিকেলে নির্ধারিত সময়ের আগে সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দফতরে পৌঁছে যান দু’জনে। 


বরখাস্তের নির্দেশ: উল্লেখ্য, ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ‘২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা বেআইনি। দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার ২৬৯ জনের নিয়োগ বেআইনি, তাই সিবিআই’। নির্দেশে এমনটাই উল্লেখ করেছেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।


সিবিআইকে এফআইআর-এর নির্দেশ: আজই মামলা দায়ের করে সিবিআইকে এফআইআর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৬৯জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২৬৯জনের স্কুলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের। ‘২৬৯জনকে কেন বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে?’ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। 


আরও পড়ুন: LIC Share Update: ৭০০ টাকার নিচে এলআইসির স্টক, বিনিয়োগকারীরা হারালেন ১.৬৪ লাখ কোটি টাকা