কলকাতা: এখন থেকে প্রতি বছর টেট (TET) হবে। কোনও কিছু লুকানো হবে না। কোনও সিদ্ধান্ত একা নেব না। দায়িত্ব নিয়ে স্বচ্ছতার কথা শোনালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Paul)। তবে ২০১৪ ও ২০১৭’র নিয়োগ জটে আটকে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের কী হবে, তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না নতুন পর্ষদ সভাপতি। 


নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! আদালতের (Calcutta High court) নির্দেশে অপসারিত হয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)! তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI। মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছে ED। 


আদালতে সম্পত্তির হিসেব: তাঁকে নিজের সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়েছে। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পরিচালন কমিটিতে আসা ১১ জনই নতুন মুখ। 


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি করা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পালকে। আর দায়িত্ব নিয়ে, পর্ষদ পরিচালনা থেকে নিয়োগ, স্বচ্ছতার কথা শোনালেন তিনি। 


নিয়োগপত্র পেলেও নিয়োগ হয়নি: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি ভবিষ্যতের দিশা দেখালেও, বর্তমানে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন ২০১৪ ও ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪’এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০২০ সালে নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী টেট উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ৫০০ জনকে  ধাপে ধাপে নিয়োগ করার কথা বলা হয়। 


এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার জন নিয়োগপত্র পেলেও, বাকিদের নিয়োগ হয়নি। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ফের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। তার পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। ফল বেরোয় ২০২২-এর ১০ জানুয়ারি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পাস করেন ৯ হাজার ৮৯৬ জন কিন্তু অভিযোগ, এখনও নিয়োগ হয়নি। এদিন জটে আটকে থাকা এসব নিয়োগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বর্তমান পর্ষদ সভাপতি। 


হাইকোর্টের অপসারণের নির্দেশের পর থেকে আর পর্ষদমুখো হননি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে সভাপতির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 


সেই ২০১১ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব পদে রয়েছেন রত্না। তিনি পর্ষদ-সচিব থাকাকালীন নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ, তিনি। 


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির কথায়, এসব নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে। প্রকাশ্যে না বলাই ভাল নতুন পর্ষদ সভাপতি স্বচ্ছতা ফেরানোর কথা বললেও, আগামীদিনে কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থী-সহ সব মহল। 


আরও পড়ুন: Samik Bhattacharya: 'জোক অফ দ্য ইয়ার', প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির আশ্বাসে কটাক্ষ শমীকের