কলকাতা: একদিকে হকের চাকরি ফেরাতে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে অনড় হাজার হাজার চাকরিহারারা। অন্যদিকে শুক্রবার থেকে কলেজ স্কোয়ারে ইউনিভার্সিটি ইন্সিটিউট হলের সামনে প্রতিবাদে সামিল ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল প্রতীকী বেকার মেলার পর আন্দোলনের শেষ দিন রবিবারে মুখে কালি মেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

বিক্ষোভে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা: পেনের কালি, চক-ডাস্টারে মাখামাখি থাকার কথা যে হাত, সেই হাতেই উঠেছে প্রতিবাদের প্ল্যাকার্ড। হকের চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে, একদিকে যখন সল্টলেকে বিকাশভবনের বাইরে মাটি কামড়ে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন ২০১৬ SSC-র চাকরিহারারা, তখন কলেজ স্কোয়ারে ইউনিভার্সিটি ইন্সিটিউট হলের সামনে পেনের কালি মুখে মেখে প্রতিবাদে সামিল হলেন ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২২ প্রাথমিক টেট পাস চাকরিপ্রার্থী বলেন, "কোনও 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি' চলবে না। ২২-এর টেট পাস চাকরিপ্রার্থীরা একত্রিত রয়েছে। আমরা নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।''                                                     ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি টেটের ফলপ্রকাশ হয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিয়োগ, চাকরির পরীক্ষার আড়াই বছর পরও ইন্টারভিউয়ের সুযোগটুকুও তাঁরা পাননি। আর তাতেই প্যানেলে আটকে ৫২ হাজারেরও বেশি টেট-উত্তীর্ণের ভবিষ্যত। ২০২২ প্রাথমিক টেট পাস চাকরিপ্রার্থী বলেন, "মাননীয়া(মুখ্যমন্ত্রী) দিকে দিকে বলে বেড়াচ্ছেন লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। পর্ষদ থেকে বলছে ৫০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র মাননীয়া (মুখ্যমন্ত্রী) একবার যদি বলেন আমরা এক্ষুনি দিয়ে দেব, তোমরা মাননীয়াকে বলো, আমরা তাহলে কোথায় যাব?''                                 

২০১৬-র SSC-র নিয়োগে দুর্নীতির বলি হয়ে হকের চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরা।  এই অবস্থায়, ১৬ সালের চাকরিহারাদের দুর্দশা দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ২২ সালের টেট উত্তার্ণরা। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার থেকে আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার আন্দোলনের শেষ দিন বেশ কিছুক্ষণ মানববন্ধনও করেন তাঁরা। ২০২২ প্রাথমিক টেট পাস চাকরিপ্রার্থী পার্থজিৎ বণিক বলেন, "হ্যাঁ এরকম আমরাও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি করছি, ন্যায্য টেট দিয়েছে সেটারও ওএমআর শিট প্রকাশ করার দাবি।''