সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বিচারপতির 'ইন্টারভিউয়ে' ফেল, চাকরি পাওয়া হল না ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণের (TET 2014 Qualfied Candidate)। 'দুর্গা বানান কী?' প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীকে প্রশ্ন করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। বানান করে চাকরিপ্রার্থী উত্তর দেন 'দূর্গা'। তার পর বিচারপতির মন্তব্য, 'এই বানান নিয়ে আপনি শিক্ষক হবেন!'


আর যা...
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, 'অ্যাপটিটিউড টেস্টের সময় বোর্ডে 'আমরা চাষ করী আনন্দে' লিখেছেন?' এই বানান নিয়ে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি না।' এর পরেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে ভিডিওগ্রাফি করে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। আজ আজ সেই ভিডিও এজলাসে চালিয়েও দেখেন।


প্রেক্ষাপট...
রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। একই সঙ্গে চলছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনও। গত মে মাসেই যেমন নিয়োগ দুর্নাীতির প্রতিবাদে ও অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে লং মার্চ শুরু করেন ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পাস প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। হুগলির ফুরফুরা শরিফ থেকে শুরু হয় যাত্রা। ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে পৌঁছনোই লক্ষ্য ছিল তাঁদের। কারও হাতে নকল মাকড়সার জাল। তাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃতদের ছবি। করও হাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ও পাশে থাকার বার্তা-সহ ব্যানার। তীব্র দহন উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থী অচিন্ত্যপ্রসাদ সামন্তের কথায়, 'আমরা ২০ হাজার ২০১৪ সালের টেট পাস ট্রেন্ড ক্যান্ডিডেট রয়েছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে প্রেস কন্ফারেন্স করে ঘোষণা করেছিলেন, প্রথমে ১২ হাজার নেওয়া হবে। ধাপে ধাপে বাকিদের নিয়োগ করা হবে। সেই নিয়োগ করা হোক।' আরেক চাকরিপ্রার্থী পলাশ বিশ্বাসের কথায়, 'আমরা পথে নেমেছি তার মূল কারণ, আজ আমরা যে যোগ্য প্রার্থীরা রয়েছি, তাঁরা প্রত্যেকেই ব়ঞ্চিত । কিন্তু, অযোগ্যরা এখনও চাকরিতে বহাল রয়েছে। এ জন্য আমরা পথে নেমেছি।' কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী সে সময় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তহ্বা সিদ্দিকির সঙ্গেও দেখা করেন। নৌশাদ সিদ্দিকি বলেছিলেন, 'তাঁদের একটাই দাবি। যাঁরা স্বচ্ছ, তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হোক। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে । জনগণকে সতর্ক করার জন্য এবং সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই গরমে তারা পদযাত্রা করছেন। তাদের দাবিকে সংহতি জানাচ্ছি।'


প্রসঙ্গত, ২০১৪-র টেটের ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তাতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ গত এপ্রিলেই নির্দেশ দেয়, '২০১৪ র প্রশ্ন ভুল মামলা, ৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তরদাতাদের নম্বর দিতে হবে'। সব মিলিয়ে জটিলতা কিছু কম নয়। 
তার মধ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের মন্তব্য।


আরও পড়ুন:ব্রাত্যর ক্রীতদাস শব্দের প্রয়োগে তপ্ত রাজনীতি, পাল্টা আক্রমণ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর


 


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI