সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal) তলব করেছে ইডি (ED)। ২০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাপসের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। শনিবার মহিষবাথানে (Mahishbathan) মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নামে অফিস ভাড়া নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (Teachers Training Center) চালাতেন বারাসতের (Barasat) বাসিন্দা তাপস মণ্ডল। যিনি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সেখানে হানা দেয় ইডি। এই প্রেক্ষাপটে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালের।                                                                               


মৌসুমী জানান যে তিনি ওই মহিষবাথানের ওই অফিসেই চাকরি করতেন। তিনি আরও বলেন, ‘একজনের সূত্রে আলাপ হয়েছিল তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। মহিষবাথানের অফিসে চাকরি করতাম, তাপস মণ্ডলের সুপারিশেই চাকরি। মহিষবাথানের অফিসে ‍১৫ থেকে ১৬ জন কাজ করতাম। ৫ থেকে ৬ মাস মাইনে না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম’।                                                                                 


আরও পড়ুন, "অশিক্ষিত, দু'টাকার গুন্ডা", সোহমের নিশানায় দিলীপ


প্রসঙ্গত, শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। চাবিওয়ালাকে এনে, শাটারের তালা ভেঙে তল্লাশি চালানো হয় সেক্টর-ফাইভ লাগোয়া মহিষবাথানে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একে একে হেভিওয়েট গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ এজেন্সির হাজতে, তো কেউ এখন জেলবন্দী। এই পরিস্থিতিতে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরার সূত্র ধরে শনিবার তল্লাশি চালালেন ED’র অফিসাররা।


অন্যদিকে,  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে। সূত্রের দাবি, নদিয়ার একটি PTTI কলেজের প্রিন্সিপালের নাম লেখা খাম মিলেছে। সেই খামে কী আছে, তা খতিয়ে দেখছে ED।