সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : টেট নিয়োগ বিতর্কে বাগদার রঞ্জনের বিরুদ্ধে উঠল আরও অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন টেট দিয়ে নিযুক্ত হওয়া এক মহিলার স্বামী। নদিয়ার বাসিন্দা সেই মহিলার নাম পাপিয়া মুখোপাধ্যায়।



স্বামী নদিয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা জয়ন্ত বিশ্বাসের দাবি, তাঁর স্ত্রী সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা পেয়েছেন। কিন্তু সেই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন পাপিয়া। 

নিয়ম মেনে স্কুলে জয়েন করি, দাবি পাপিয়ার 
তিনি দাবি করেন, ' স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক নেই। একাধিক কোর্টে ৬-৭টি মামলা চলছে। উনি কাকে টাকা দিয়েছেন জানা নেই। ' এছাড়াও তাঁর দাবি, ' ২০১২ সালে ছেলে অসুস্থ হওয়ায় টেট দিইনি। ওই অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ২০১৪-য় পরীক্ষায় বসি। নিয়মানুযায়ী মোবাইলে এসএমএস আসে। নিয়ম মেনে ২০১৭-য় স্কুলে জয়েন করি। ' 
পাপিয়া আরও বলেন, ' আমি যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছি। আমার কাছে সব তথ্য আছে। ভেবেছে যে হ্যারাস করার পরে আমি হয়তো ফিরে যাব।  ' 
শিক্ষিকার দাবি, এখনও তাঁর সঙ্গে CBI’এর কোনও কথা হয়নি। গোয়েন্দারা তাঁকে ডাকেনওনি।এই অবস্থায় CBI এখন কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই সবার নজর।  স্বামী-স্ত্রীর অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ ঘিরে, নতুন মোড় নিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা।

সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি, স্বামীর দাবি 
কিন্তু পাপিয়ার স্বামীর অভিযোগ এক্কেবারে আলাদা। তাঁর দাবি, স্ত্রী পাশ করেননি, টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর দাবি, ' আমার স্ত্রী সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা পেয়েছে। আমার টাকাও ছিল। চন্দন নামে একজনকে টাকা দিয়েছিল বলে শুনেছি। ' তাঁকে জিগ্যেস করা হয়, আপনার স্ত্রী কি পরীক্ষায় বসেছিলেন?  উত্তরে তিনি বলেন, ' হ্যাঁ পরীক্ষায় বসেছিল। এবার কী উত্তর দিয়েছে সেটা তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। ২০১২ সালে ফেল করেছিল। আবার ২০১৪’র যে TET সেটা খুব সম্ভবত ২০১৫’র শেষে পরীক্ষাটা হয়েছিল। ' 

পাপিয়া নদিয়ার হবিবপুরের রাঘবপুর রূপান্তরিত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্ধার্থশঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ৩১ অগাস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে আছেন পাপিয়া। তবে নিয়োগ-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রধান শিক্ষক।