কলকাতা: রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নেমেছে সিবিআই। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ও কোচবিহারের শীতলকুচির ২টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। সেইসঙ্গে নতুন করে আরও একটি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নিয়ে মোট এফআইআর-এর সংখ্যা হল ৩১। আজই সিবিআইয়ের একটি টিম ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নন্দীগ্রামে যাচ্ছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। ঘটনা সম্পর্কে জেনে তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। 


উত্তরে কোচবিহার থেকে দক্ষিণে ডায়মন্ডহারবার, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস-তদন্তে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে সিবিআই। কিন্তু কোথায় রাজ্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট? রাজ্য পুলিশের কর্তাদের নিয়ে কেন সিট গঠিত হল না এখনও? এই প্রশ্ন তুলে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মামলাকারীদের একাংশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই বিচারপতিদের কাছে আদালত অবমাননার রুল জারির আবেদন করতে পারেন মামলাকারীরা। 


গত ১৯ অগাস্ট ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যদিকে, ভাঙচুর, আগুন, মারধর, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিট। ৩ আইপিএস অফিসার সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারের নেতৃত্বে গঠিত হবে সিট।  সিবিআই ও সিট-- দুই তদন্তকারী দলকেই ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 


এরই প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের একাংশ যদিও প্রশ্ন তুলেছে, ১৯ অগাস্টের রায়কে কেন মান্যতা দিচ্ছে না সরকার? কীভাবে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে সিট? এখনও কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করল না সরকার? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবারই মামলাকারীরা আদালত অবমাননার রুল জারির আবেদন করতে চলেছেন হাইকোর্টে। 


অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী অশান্তির গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্তে সোমবারও বিভিন্ন জেলায় ঘুরল সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সোমবার বীরভূমের দু’জায়গায় যান তাঁরা। শান্তিনিকেতন থানা থেকে পুলিশকে নিয়ে সিবিআই অফিসাররা যান উত্তর নারায়ণপুরে। সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক টিমও।